জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে কালই ফাইনাল নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে আগামীকালই ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করতে চায় স্বাগতিক বাংলাদেশ। সিরিজের চতুর্থ হলেও বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের উভয় দু’দলের এটি তৃতীয় ম্যাচ। আগামীকাল জিম্বাবুয়েকে হারাতে পারলেই টুর্নামেন্টের ফাইনাল নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। অপরদিকে, টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই জিম্বাবুয়ের। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচটি। টুর্নামেন্টের লিগ পর্বের প্রথম ধাপ শেষে পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে আফগানিস্তান। লিগের প্রথম পর্বের দু’ম্যাচেই জয় পেয়েছে তারা। দু’ম্যাচের মধ্যে একটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। আর দু’টির মধ্যে কোনটিতেই জয় পায়নি জিম্বাবুয়ে। তাই আফগানিস্তানের পয়েন্ট ৪, বাংলাদেশের ২ ও জিম্বাবুয়ের শূন্য। তিন দলেরই ২টি করে ম্যাচ রয়েছে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগামীকালের ম্যাচে জিতলে বাংলাদেশের পয়েন্ট হবে ৪। সেক্ষেত্রে জিম্বাবুয়ের ম্যাচ বাকী থাকবে মাত্র ১টি। নিজেদের শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ে জিতলেও, তাদের পয়েন্ট হবে ২। বাংলাদেশ বা আফগানিস্তানের ৪ পয়েন্ট টপকে যাবার কোন সুযোগ নেই জিম্বাবুয়ের। কাল বাংলাদেশের কাছে হারলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিবে জিম্বাবুয়ে। আর বাংলাদেশ চলে যাবে ফাইনালে। বাংলাদেশের সাথে ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে আফগানিস্তানেরও। আর যদি বাংলাদেশ কাল হেরে যায়, তারপরও ফাইনালে যাবার সুযোগ থাকবে সাকিবের দলের। তখন ফাইনাল খেলার সুযোগ তৈরি হবে জিম্বাবুয়েও। সেক্ষেত্রে লিগ পর্বে নিজেদের চতুর্থ ও শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে উভয়ের জন্যই হবে বাঁচা-মরার লড়াই। তাদের শেষ ম্যাচ হবে শক্তিশালী আফগানিস্তানের বিপক্ষে। যারা ফাইনালের পথে বেশ ভালোভাবেই টিকে আছে।
টুর্নামেন্টর উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলো বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্বান্ত নেয় বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে নেমে ৬৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে জিম্বাবুয়ে। তবে এরপরও বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ে দেয় জিম্বাবুয়ে। কারন ছয় নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে রায়ান বার্ল রানের ফুলঝুড়ি ফুটিয়েছেন। ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩২ বলে অপরাজিত ৫৭ রান করেন। ফলে ১৮ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৪ রানের সংগ্রহ পায় জিম্বাবুয়ে। জয়ের জন্য ১৪৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বিপদেই পড়েছিলো বাংলাদেশ। টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ৬০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে পড়েছিল টাইগাররা। কিন্তু বাংলাদেশকে হারের পথ থেকে বের করে আনেন মোসাদ্দেক হোসেন ও আফিফ হোসেন। সপ্তম উইকেটে ৪৭ বলে ৮২ রান যোগ করে বাংলাদেশকে দুর্দান্ত এক জয় এনে দেন মোসাদ্দেক ও আফিফ।
৮টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৬ বলে ৫২ রান করে আউট হন আফিফ। তবে ২৪ বলে অপরাজিত ৩০ রান করে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন মোসাদ্দেক। তখন তার সঙ্গী ছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ২ বলে ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কর্ষ্টাজিত জয় তুলে নিতে পারলেও, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে অসহায় আত্মসমর্পন করে বাংলাদেশ। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানদের কাছে ২৫ রানে হারে সাকিবের দল। তাই হার নিয়ে চট্টগ্রামের মাটিতে এখন বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশের মত নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হারে জিম্বাবুয়ে। তাদের হার ছিলো ২৮ রানে। তাই হার নিয়ে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়েও। দু’দলই জয়ের জন্য কাল মাঠে নামছে। এখন পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দশবার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। ৬টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। ৪টিতে হার জিম্বাবুয়ের।
বাংলাদেশ দল : সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, লিটন দাস, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আফিফ হোসেন, তাইজুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, নাঈম শেখ, আমিনুল ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। জিম্বাবুয়ে দল : হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (অধিনায়ক), রেগিস চাকাভা, রিচমন্ড মুতুম্বামি, সিন উইলিয়ামস, নেভিল মাদজিভা, টিনোটেন্ডা মুতোমবদজি, টনি মুনিওয়াঙ্গা, কাইল জার্ভিস, তেন্ডাই চাতারা, কিস্টোফার এমপোফু, ক্রেইগ আরভিন, বেন্ডন টেইলর, আইনস্লে এনডিলোভু, টিমিচেন মারুমা ও রায়ার্ন বার্ল।