নিজের মেয়েকে অপহরনের নাটক সাজিয়েছে বলে অভিযোগ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি, মোঃশাহ্ আলম, ১৪ আগস্ট, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪): নিজ জামাই ও জামায়ের পরিবারকে ফাঁসাতে মেয়ে পরিবার থেকে অপহরণের নাটক সাজিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নধীন ৭ নং ওয়ার্ডে ভবানীপুর সাহাপাড়া গ্রামে।
উভয় পক্ষের দায়িরকৃত থানায় ও ইউনিয়ন কাউন্সিলের অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, প্রেমের জের ধরে ১০-৯-১৮ তারিখে ছেলে মেয়ে উভয় অজানা পথে বের হলে হঠাৎপাড়া গ্রামে স্থানীয় লোকের সহযোগীতায় মনাকষা ইউপির ৫নং ওয়ার্ড সদস্য সাদিকুল মেম্বারের নেতৃত্ব রানীনগর গ্রামের রুহুলের বাড়িতে রাতের আধারে উক্ত গ্রামের জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আঃসালামের মাধ্যমে ভবানীপুর গ্রামের মোঃতোফজুলের ছেলে মোঃ কাইয়ূম রেজা (১৮) সাথে একই গ্রামের মোঃ আলমের মেয়ে ইসমিন খাতুন(১৩) বিয়ে দেয়।
উল্লেখ যে উভয় নাবালক হওয়া বিয়ে রেজিঃনা করে ২৮-৩-১৭ তারিখের বনকুল গ্রামের সুমাইয়া খাতুন নামে নেওয়া ২২৩৭ নং স্টাম্প ভান্ডা মজিবুর কাছ থেকে নেওয়া ও আরেকটি স্টাম্প ৩১-৭-১৭ তারিখের শ্রী সুধীন কুমার দাস এর কাছ থেকে উত্তোল করে একটি ফাকা স্টাম্পে কাইয়ূমের জাল স্বাক্ষর করে রাখে।
উভয় পক্ষের পারিবারিক ও এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায়, শিবগঞ্জ থানার এস আই মাহবুর আলম মাধ্যমে মেয়েকে কাইয়ুম রেজার অনুপস্থিতে তার পিত্রালয় থেকে উদ্ধারর করে মেয়ের পিতা আলম কে বুঝিয়ে দেয়।
এব্যাপারে কাইয়ূম আরও জানায়, আমি ঢাকায় রাজমিস্ত্রী কাজে গিয়ে ছিলাম এমন অস্থায় আমার স্ত্রী ইসমিন খাতুন কে আমার শশুর ও তার লোক জন শিবগঞ্জ থানার পুলিশ মারফত তার বাড়ি থেকে নিয়ে জায়, বিষয়টি জানতে পারিয়া আমি বাড়ি আসি। এলাকার ইউপি সদস্য ও গন্যমাণ লোক জন নিয়ে গত তারিখে (৩-৩-১৮) মিমাংসায় বসি এবং এক পযার্য় মেয়ে পক্ষ সালিশ মানিবে না বলে উঠে যায়।
আমি ঢাকা রাজমিস্ত্রিরর কাজে অবস্থান কালে ইসমিনের পিতা মোঃ আলম, আমাকে ও আমার পরিবারকে জড়িয়ে থানায় অপহরনের অভিযোগ করে। এই ব্যাপারে আলম ও তার স্ত্রী রেবিনা বেগম জানায়, আমার জামাই ঢাকায় থাকা অবস্থায় আমার মেয়ে ইসমিন ২২-৭-১৮ তারিখে বিকাল ৩.০০টার সময় আমার বাড়ী থেকে একাই বের হয়ে যায়। তার মা আরও জানায় আমার মেয়ে কোন দিন ফোন ব্যবহার করেনি।
এই ব্যাপারে এলাকার নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক অনেকেই জানায়, ভারতের শোভাপুরে আলমের নিজ বোনের বাড়িতে রেখে এসে মেয়েকে অপহরনের নাটক সাজিয়েছে। ঐ সুত্রে আরও জানা যায়, আলম ও তার ছেলে ভারতে রাজমিস্ত্রির কাজ করে।
উল্লেখ্য যে, ইসমিনের নামটি একাক স্থানে একাক ভাবে ব্যবহার হয়েছে। সেটা হলো স্কুলে নাসরিন নামে রেজিঃ করা আছে, থানায় জিডি করার সময় জোসনা নামে জিডি করা আছে, ইউপি কাউন্সিলে অভিযোগ করার সময় জেসমিন নামে করা আছে এবং স্টাম্পে সুমাইয়া নামে উল্লেখ্য করা হয়েছে।
এব্যাপারে মাও আঃ সালামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ইউপি সদস্য সাদিকুল ইসলাম ও রুহুলের নির্দেশে বিয়ে পরিয়েছি। এব্যাপারে সাদিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি কিছুই জানি না। রুহুলের সাথে যোগাযোগে চেস্টা করা হলে তিনি সাংবাদিকের টের পেয়ে আত্মগোপন করে।
এব্যাপারে ঘটনার তদন্দকারী কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার এস আই রিপন কুমার জানায়, আমি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে বিষয়টির ঘটনা সত্যতা প্রমান সাপেক্ষে আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।