চৌদ্দগ্রাম স্ত্রীর ডিভোর্স লেটার পেয়ে স্বামীর আত্মহত্যা
বিষেশ প্রতিনিধি, মীর মোজাহারুল হক, ১৫ জুন ২০২৫ইং (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম স্ত্রী কর্তৃক ডিভোর্স লেটার পেয়ে গলায় ফাঁসি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আজিজুল হক রবিন নামের এক যুবক। ১৫ জুন রোববার সকালে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার শেষে থানায় নিয়ে আসে। নিহত রবিন উজিরপুর ইউনিয়নের জগমোহনপুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজিজুল হক রবিন আট বছর পূর্বে পাশ্ববর্তী সদর দক্ষিণ উপজেলার তালপট্টি গ্রামের নাছিমা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে জান্নাত আক্তার নামে ৬ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে উভয়ের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকতো। ঝগড়ার জের ধরে ছয় মাস পূর্বে নাছিমা আক্তার একমাত্র সন্তানকে রেখে বাবার বাড়িতে চলে যায়। অনেক বার পারিবারিক ভাবে চেষ্টা করেও নাছিমা আক্তারকে আনতে ব্যর্থ হয় আজিজুল হক রবিন।
এরই মধ্যে গত দুই মাস আগে নাছিমা আক্তার স্বামী আজিজুল হক রবিনের ঠিকানায় ডিভোর্স লেটার পাঠালেও পরিবারের লোকজন আজিজুল হক রবিনকে বিষয়টি অবগত করেনি। আজিজুল হক রবিন ঈদের ছুটি শেষে পাশ্ববর্তী গার্মেন্টসে চাকরিতে যোগদানের ‘পরিচয়পত্র’ খুঁজতে গিয়ে ডিভোর্স লেটার দেখতে পায়। এরপর থেকে তাঁর মন খারাপ হয়ে যায় এবং সর্বশেষ শনিবার বিকেল থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। এরপর রোববার সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছে আজিজুল হক রবিনের লাশ ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
নিহত আজিজুল হক রবিনের ভাই আশরাফুল ইসলাম শাওন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভাই রবিনের সাথে ভাবি নাছিমা আক্তারের ঝগড়া চলছিল। এরই জের ধরে ছয় মাস আগে নাছিমা আক্তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। দুই মাস আগে ডিভোর্স লেটার পাঠায় নাছিমা আক্তার। বিষয়টি পরিবারের পক্ষ থেকে গোপন রাখলেও দুইদিন আগে তিনি ডিভোর্স লেটারটি দেখে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। সর্বশেষ রোববার বাড়ির পাশে গাছে লাশ ঝুলতে দেখা যায়’।
চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক তারেক উদ্দিন বলেন, ‘আজিজুল হক রবিনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সে আত্মহত্যা করেছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে’।