যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করলে সরবরাহ বন্ধ: চীন
রাজনীতি বিষয়ক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, সমরাস্ত্রের দিক থেকে অসম্ভব শক্তিশালী পরমাণু শক্তিধর চীনকে কাবু করতে সামরিক ক্ষেত্রের পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্র তার পশ্চিমা মিত্ররা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রকে বেছে নিয়েছে। আর বৃহত্তর এই যুদ্ধের অংশ হিসেবে চীনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কামান দাগানোর ঘোষণা দিয়েছেন নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবশ্য চীনের বিরদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে এই ধরনের পদক্ষেপ নতুন নয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদেও চীনের বিরদ্ধে একই ধরনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিলেন।
২০২০ সালে ট্রাম্পকে পরাজিত করে নির্বাচিত ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট জো বাইনেও একই নীতি বজায় রেখেছেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেই কিন্তু ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে কুঠারাঘাত শুরু করে দিয়েছিলেন। নির্বাচনে জয়ী হয়ে তার প্রশাসন সাজানোর পর বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয়েছে, চীনের বিরুদ্ধে একই ধরনের আক্রমনাত্মক মানসিকতায় রয়েছেন তিনি। এমনকি আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব গ্রহণের দিনই চীনের বিরুদ্ধে নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়ে রেখেছেন তিনি।
এই ব্যাপরে ওয়াশিংটন ভিত্তিক যুক্তরাষ্ট্রের থিংকট্যাংক সেন্টার ফর স্ট্র্রাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ জুড ব্লাংকেট ‘নিউইয়র্ক টাইমস’কে বলেছেন, প্রথম দফার বাণিজ্য যুদ্ধের সময় বেইজিং মার্কিন শুল্ক আরোপের চাপ মেনে নিয়ে বরং সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা চালায়। তবে বেইজিং এই চাপ আর মুখ বুজে সহ্য করবেনা, সেই বার্তাই তারা এখন দিতে চায়। মূলত মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বেইজিং দীর্ঘ দিন ধরে নিজেদের প্রস্তত করেছে।
২০১৮ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যখন চীনের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন, তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করতে থাকে বেইজিং। মার্কিন কোম্পানিগুলোকে শায়েস্তা করতে চুক্তি পর্যালোচনাসহ প্রয়োজনীয় আইন পাস করে তখন থেকেই করতে শুরু করে। মার্কিন কোম্পানিগুলো যাতে তাদের শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সংগ্রহ করতে না পারে তা নিশ্চিত করাই ছিল এসব পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে।