নরসিংদীতে বিকাশের মাধ্যমে অবৈধ লেনদেন বিপুল সংখ্যক সিমসহ গুয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার ২
নরসিংদী প্রতিনিধি, কে.এইচ.নজরুল ইসলাম, ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নরসিংদীতে বিকাশের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে লেনদেন কার্যক্রমের সাথে জড়িত ২ বিকাশ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গত রবিবার সন্ধায় সদর উপজেলার মাধবদী থানাধীন পাঁচদোনা হতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুপন কুমার সরকারের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলো পাঁচদোনা মোড়ের সুমাইয়া টেলিকমের মালিক রিযওয়ানুল ইসলাম (৪২) ও সকাল স্বন্ধা টেলিকমের মালিক আব্দুল গাফফার (২৯)। রিযওয়ানুল ইসলামের সুমাইয়া টেলিকম থেকে ১৪৬ ও আব্দুল গাফফারের সকাল স্বন্ধা টেলিকম থেকে ২৮ টি বিকাশ একাউন্ট সম্বলিত সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়। বিভিন্ন ব্যাক্তির অজান্তে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি ব্যবহার করে এই সিম গুলিতে বিকাশ একাউন্ট করা হয়। যা দিয়ে মোটা অংকের টাকা লেনদেন করা হতো। এই প্রক্রিয়ায় অপহরণের পর মুক্তিপণ, ব্ল্যাকমেইল, মাদক, সন্ত্রাসী কার্যক্রমের টাকা লেনদেন হতো বলে মনে করছে গোয়েন্দা পুলিশ। জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, বিকাশের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করার জন্য অবশ্যই পালনীয় নিয়ম-নীতি রয়েছে। অধিক মুনাফার লোভে বেআইনিভাবে অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি ব্যবহার করে বহুসংখ্যাক সীম রেজিষ্ট্রেশন করা হয়। এর ফলে নির্দিষ্ট অংকের টাকার সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে বেশি সংখ্যার টাকা লেনদেন করা সম্ভব হচ্ছে। এই ধরনের লেনদেনগুলি বিভিন্ন বেআইনি কার্যক্রমের ফলেই হয়। কাউকে অপহরণ করে দ্রুত মুক্তিপণ আদায়ের অন্যতম উপায় হলো বিকাশের এই অবৈধ লেনদেন। অপর দিকে সরল বিশ্বাসে বিকাশ একাউন্ট করার জন্য এসব দোকানদারদের কাছে যারা জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি দিয়েছেন জড়িত না হয়েও তারা ওই অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছেন। এ সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে। রবিবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাধবদী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতগুলো সিম দিয়ে বড় কোন অপরাধ সংঘটনের সাথে জড়িত কিনা তদন্ত চলছে। এই ধরনের অপরাধীদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। তবে পুলিশের অভিযানে আতংকিত হওয়ায় কিছু নেই। শুধুমাত্র অবৈধ কার্যক্রমের সাথে জড়িতদের কেই আইনের আওতায় আনা হবে।