ফরিদগঞ্জের মা বাবা ও মেয়ে এম ভি অভিযান-১০ এর যাত্রী ছিল
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি, কামরুজ্জামান, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার একই পরিবারের বাবা-মা ও মেয়ে তিন জন, নদীতে ঝাঁপ দিয়েও বাচঁতে পারেননি মা মনোয়ার বেগম (৫০)। এ দুর্ঘটনায় তার স্বামী বিল্লাল হোসেন (৬০) ও ছোট মেয়ে আমেনা আক্তার (১৪) দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার ২৫ ডিসেম্বর সকালে বরগুনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গণমাধ্যমকে। ফরিদগঞ্জের গ্রামের বাড়ীতে আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে চলছে শোকের মাতম। ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিশেষবন্দ গ্রামের হাজী বাড়ির বাসিন্দা ছিল তারা।
সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চটিতে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টায় অন্যান্যদের সাথে যাত্রী হয়ে উঠেন এই একই পরিবারের তিন সদস্য। তাদের পরিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ওই রাতে ঝালকাঠির গ্রামে তাদের বড় মেয়ে ফাতেমা আক্তারের শ্বশুরের মৃত্যুর সংবাদ শুনের সেখানে রওয়না দেন। তাদের বহনকারী লঞ্চ সুগন্ধা নদীর মাঝখানে পৌঁছালে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। জীবন বাঁচাতে তারা তিন জনই অগ্নীদগ্ধ অবস্থায় নদীতে লাফিয়ে পড়েন। বাবা মেয়ে সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও মনোয়ারা বেগমকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
পরবর্তিতে শনিবার সকালে দূর্ঘনার স্থান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মনোয়ারা বেগমের লাশ ভেসে উঠে। সেখান থেকে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন মরদেহটিকে উদ্ধার করলে মনোয়ারা বেগমের ছেলে মোস্তফা তার মায়ের লাশ সনাক্ত করেন। শেষ খবর অনুযায়ী মনোয়ারা বেগমের লাশ ফরিদগঞ্জে গ্রামের বাড়ীর উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হচ্ছে দাফনের জন্য। বাবা ও মেয়ে বরিশাল শেরে বাংলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় তাদের পুরো গ্রামে এখন চলছে শোকের মাতম।