ফরিদগঞ্জে গৃহায়ন প্রকল্পের কাজে সন্তুষ্ট জেলা প্রশাসক
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি, কামরুজ্জামান, ১১ জুলাই, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : মুজিব বর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রির অনেক অঙ্গিকারের একটি আশ্রয়হীনদের আশ্রয় প্রদান। এ প্রকল্পে যারা ভুমিহীন তাদের জন্য সরকার খাস জমিতে ঘর বানিয়ে আশ্রয় প্রদান করছেন। এটি সারা বাংলাদেশেই চলমান। তারই অংশ হিসেবে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ২০টি ভুমিহীন পরিবারের মাঝে ভুমিসহ ঘর প্রদান কার হয়েছে। গত ২০জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একযোগে বাংলাদেশের সকল উপজেলায় ঘর প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্ভোধন করেন।
উপজেলার ১নং বালিথুবা ইউনিয়নের বাঘরা বাজারে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে অত্তন্ত নান্দনিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশে দৃষ্টিনন্দন ১৩টি ঘর ও ১৬নং রুপসা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ এলাকায় ৭টি ঘরসহ জমির কাগজপত্র ইতিমধ্যে সুবিধাভোগিদের মাঝে বিতরন করা হয়েছে। ২০টি পরিবারের কেউ কেউ ইতিমধ্যে সেসব ঘরে বসবাস শুরু করেছেন। বাকী সুবিধাভোগিদের মধ্যে যারা এখন ঘরে উঠে নাই তাদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তিগত সমস্যা রয়েছে বলে সুবিধাভোগি ও স্থানীয় নির্বাহী কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান।
১১জুলাই শনিবার বাঘড়া বাজারের আশ্রায়ন প্রকল্পটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। তিনি উপস্থিত এলাকাবাসী, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, সুবিধাভোগি ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে মহান সৃষ্টিকর্তার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রির প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, আমি গর্ববোধ করছি বাংরাদেশের মতো একটি দেশে জন্মাতে পেরে। যে দেশের সরকার প্রধান দেশের নাগরিকদের মৌলিক চাহিদাগুলি পূরনে যথা নিয়মে কাজ করে যাচ্ছে। আমরাও সরকারের নির্দেশ মোতাবেক ভুল ত্রুটির উর্ধে থেকে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট রয়েছি।
তিনি আরো বলেন, ফরিদগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলি হরি সরকারের একজন বিচক্ষন কর্মকর্তা। প্রতিটি ঘরের জন্য যে পরিমান বরাদ্দ তাতে আমি বিশ্মিত যে, কিভাবে প্রকল্পটি সে সম্পাদন সম্পাদন করেছে। নদীর পাড়ে গাইড ওয়াল দিয়ে ঘর ছাড়াও পুরো প্রকল্পটিকে ইটের সলিং দিয়ে চমৎকার পরিবেশ তৈরি, বিদ্যুৎ সংযোগ, নিরাপদ পানির জন্য যথেষ্ট পরিমান ডিপ টিউবয়েল সংস্থাপন। নির্বাহী কর্মকর্তাসহ যারা এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট, সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
জেলা প্রশাসক সুবিধাভোগিদের কাছে গৃহায়নের সুবিধা, অসুবিধা সম্পর্কে জানতে চাইলে সকলেই প্রধানমন্ত্রির প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, ভাবিনি কখনও সকল ব্যবস্থাসহ এমন একটি ঘর পাবো। কোন অনিয়ম হয়েছে কিনা প্রশ্নের জবাবে উত্তর একটাই ছিল মাত্র ১লক্ষ ৭০হাজার টাকায় যে ঘর পেয়েছি তা আমরা ব্যক্তিগতভাবে কখনও নির্মান করতে পারতাম না। সকলের সাথে আলাপ করে, মতামত নিয়ে এবং কাজের গুনগত মানে জেলা প্রসাশক সন্তুষ্ট বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
অন্যদিকে একই দিন বিকাল ৫টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলি হরি তার কার্যালয়ে গৃহায়ন প্রকল্প সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলন করে, আবেদন যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া, এর নির্মার ব্যয় এবং কাজের ধরন সহ সকল কিছুর বর্ননা দেন। তিনি বলেন, ঘর হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিতা শেষ হলেও কিছু কিছু কাজ বাকী থাকার কারনে অনেকেই এখনও ঘরে উঠছে না। তবে বিদ্যুৎ, পানি, অতিব জরুরী কাজগুলি শেষ হয়েছে। এখন চলছে সুসজ্জিত করার কাজ। এর অনেক কিছুই বরাদ্দে নেই। কিন্তু আমারা করেছি। এবং খুটিনাটি সকল বিষয় সম্পাদন করে দিব। কেউ না জেনে না বুঝে বা কথা না বলে তথ্যহীন একটি অবান্তর সংবাদ ছাপিয়ে পত্রিকায় ছাপিয়ে দিলেই তা সত্যি বলে ধরা যায় না। আমি সকল সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ করবো, কোথাও কোন ভুল থাকলে তা আমাকে জানাবেন এবং তথ্যনির্ভর সংবাদ পরিবেশন করে জাতীর বিবেক হিসেবে আপনাদের পরিচয় তুলে ধরবেন। সংবাদ সম্মেলনে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবেন সভাপতি কামরুজ্জামান, সাধারন সম্পাদক আব্দুস সোবহান লিটন সহ অনেকেই উপস্থিত ছিল।