চার দিনব্যাপী আইসিটি মেগা ইভেন্ট ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৭ শুরু
ঢাকা, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৭ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : চার দিনব্যাপী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মেগা ইভেন্ট ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৭ বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হচ্ছে। আইটি খাতে সম্ভাবনার দুয়ার খোলার লক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানে প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবন ও অর্জন তুলে ধরা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এই ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের উদ্বোধন করবেন। কয়েকটি আইটি সংগঠনের সহযোগিতায় আইসিটি বিভাগ ও বেসিস ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৭’-এর আয়োজন করেছে, যার প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘রেডি ফর টুমরো’। গত ৯ বছরেরও বেশি সময়ে আইসিটি সেক্টরে বাংলাদেশের যে অর্জন তা নিয়ে বাংলাদেশ আগামীর জন্য প্রস্তুত বলে এবছরের প্রতিপাদ্যে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ভিশন-২০২১ বাস্তবায়ন এবং দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই লক্ষ্য অর্জনে আইসিটি ডিভিশন বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে হাই-টেক পার্ক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপনসহ কিছু মেগা উদ্যোগ গ্রহণ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, ‘আমি জেনে খুশি হয়েছি যে, ডিজিটাল বাংলাদেশ উদযাপনে আইসিটি বিভাগ আইসিটির একটি মেগা প্রদর্শনী ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৭’-এর আয়োজন করেছে। এ উপলক্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে দেশের জনগণ গুরুত্বের সঙ্গে ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রহণ করায় আমি দেশবাসীকে অভিনন্দন জাগাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ২০০৯ সালে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ-এর যাত্রা শুরু করি। জনগণ এই দর্শনকে স্বাগত জানায় এবং দেশে দ্রুত সর্বক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটে। বিশেষ করে সংযোগ, সার্ভিস ডেলিভারি, যোগাযোগ, ব্যাংক, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য অনেক আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়। এই প্রচেষ্টা আইসিটি খাতে বিশ্বায়ানে আমাদের অবস্থানকে শক্তিশালী করে।
ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে আইসিটির প্রভাবে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রের প্রচেষ্টায় সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে, যা ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে সহজ হবে।
এ ব্যাপারে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আইসিটি বিভাগের প্রচেষ্টা ও সংযুক্তিকে আমি সাধুবাদ জানাই। ২০২১ সালের মধ্যে আমাদের লক্ষ্য আইসিটি খাতে ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান, রফতানির মাধ্যমে ৫ কোটি মার্কিন ডলার আয় ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ উন্নয়নে আমাদের সাহায্য করবে।