নোয়াখালী শহর ও চৌমুহনীতে যানজট নিরসনে জেলা পুলিশের প্রশংসনীয় উদ্যোগ
নোয়াখালী প্রতিনিধি, লুতফুল হায়দার চৌধুরী, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার বানিজ্যিক রাজধানীখ্যাত চৌমুহনী এবং মাইজদী শহরের চিরচেনা যানজটের দৃশ্য বদলাতে শুরু করেছে। জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেনের দিক নির্দেশনায় জেলা টিআই মোঃ শাহিনুর ইসলাম, সদর টিআই বখতিয়ার ও চৌমুহনী ট্রাফিক পুলিশের টি.আই এস.এম কামরুল হাছান, পিপিএম ও তার টিম, বেগমগঞ্জ ও সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ, চৌমুহনী ফাঁড়ি থানা ও এএসপি সার্কেল বেগমগঞ্জের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় যানজটের দৃশ্যপট বদলাতে শুরু করেছে।
পরিবর্তীত যানজটের দৃশ্য অব্যাহত রাখতে জনগনকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেছে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন। চৌমুহনী কেন্দ্রিক বানিজ্যিক নগরী নোয়াখালী ছাড়াও ফেণী, লক্ষীপুর, ভোলা, চাঁদপুর সহ বিভিন্ন জেলার যানবাহন এ মহাসড়ক যাতায়াত করে । এর পাশাপাশি রয়েছে অটো চালিত সি.এন.জি, বাস, মিনিবাস, ট্রাক, ট্যাঙ্ক, লরিসহ লক্ষধিক লোকের যাতায়ত। তার উপর বিষ পোড়ার মতো রাস্তার উভয় পাশে শতাধিক হকার, মাছ, তরকারির ফসড়া সাজিয়ে ব্যস্ততম সড়কে বসে যান। আরও রয়েছে শতাধিক ভ্রাম্যমান ভ্যানগাড়ীর হকার, চানাচুর, বিস্কুট, জুতা সহ রকমারী পন্য সাজিয়ে রাস্তার উভয় পাশে দাড়িয়ে যান।
এমনকি গুরুত্বপূর্ন বানিজ্যিক শহর প্রায়শই যানজটে স্থবির হয়ে থাকে। এর উপর পথচারী চলাচলের জন্য কোন ফুটপাত না থাকায়, একেবারে রাস্তায় এলোমেলো ভাবে চলাচল করে। এ অবস্থান চৌমুহনী পূর্ব বাজার থেকে পশ্চিম বাজার পর্যন্ত বিদ্যমান। এর মধ্যখান দিয়ে একটি রেল লাইন চলে যাওয়ায় যানজটের ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছে যায়। এ পরিস্থিতি উত্তোরনে বিজ্ঞ পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন চৌমুহনী ট্রাফিক পুলিশ সহ বিভিন্ন থানা পুলিশে রদবদল করে সাহসি ও অভিজ্ঞ টি.আই, এস.এম কামরুল হাছান পিপিএম, বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান শিকদার পিপিএম, এ.এস.পি বেগমগঞ্জ সার্কেলকে পদায়ন করেন।
এ তিন ত্রয়ীর অপূর্ব সমন্বয় এবং কৌশলী ভূমিকায় বর্তমানে যানজটমুক্ত চৌমুহনী দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। যানজটমুক্ত এ অবস্থান স্থায়ী রুপ দিতে বিভিন্ন ব্যবসায়িক, বাস মালিক, শ্রমিক সংগঠন গুলোর সাথে কয়েক ধাপে আলোচনা ও প্রচারনা এবং কৌশল প্রনয়ন করে সমাজের অন্যান্য শ্রেণী পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন জেলা পুলিশ সুপার। এ বিষয়ে চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সাল বলেন, ফুটপাত নির্মানের জন্য একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশাকরি অচিরে তা বাস্তবায়ন হবে।
আরও খবরঃ-
**নোয়াখালীতে প্রতারণা করে অসুস্থ ব্যক্তি থেকে ভূমি দলিল রেজিষ্ট্রি করার অভিযোগ, মৃত্যু নিয়ে রহস্য**
নোয়াখালী প্রতিনিধি, লুতফুল হায়দার চৌধুরী, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালী কবির হাট উপজেলার গঙ্গাপুর গ্রামের অসুস্থ ব্যক্তির কাছ থেকে প্রতারনার মাধ্যমে ৩০ ডিং ভূমির দলিল রেজিষ্ট্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে একই সাথে অসুস্থ ব্যক্তির মৃত্যু নিয়েও রহস্য দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, গঙ্গাপুর গ্রামের আক্তারের জামান দীর্ঘ দিন যাবত অসুস্থ হয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত ৯ ই নভেম্বর আক্তারের জামানের প্রবাসী ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও ভাতিজা চিকিৎসার কথা বলে নোয়াখালী কবির হাট সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে নিয়ে যায়। ঐসময় আক্তারের জামান বাড়ি ও ভিটির ৩০ডিং ভূমির দলিলে স্বাক্ষর নিয়ে রেজিষ্ট্রি সম্পাদন করে। আক্তারের জামান বিষয়টি জানতে পেরে হঠাৎ করে ব্রেন স্ট্রর্ক করে। তার অবস্থা অবনতি হলে গত ২০ই নভেম্বর নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়।
পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত সুচিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার করে কিন্তু আক্তারের জামান ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও ভাতিজা তাকে ঢাকা না নিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। তাদের ঘরে মৃত্যু হয় এবং তড়িগড়ি করে দাফনের প্রস্তুতি নেয়। দাফনের পূর্বে গোসল করানোর সময় তার বাম হাতের বগলের নিচে শরীরের একটি ছিদ্র দেখা যায় এবং যাহা কসটিভ দ্বারা ঢাকা ছিল। ঘটনাটি জানাজানি হলে পরিবারের লোকজন কবিরহাট থানাকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং লাশ থানায় নেওয়ার উদ্যেগ গ্রহণ করিলে স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ও ইব্রাহিম মাষ্টার, স্ট্যাম্পের মাধ্যমে সমযোতার কথা বলে দাফন সম্পন্ন করে।
কিন্তু অদ্যবধি সমযোতা না করে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে। আক্তারের জামান ভাই ও ভাইয়ের পরিবারের বর্গ দরজায় তালা দিয়ে গা ডাকা দেয়। এবিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্যে নেওয়ার জন্য তাদের বাড়িতে গেলে কাওকে পাওয়া যায় নি। বর্তমানে আক্তারুজ্জামানের পরিবার বর্গ প্রতারণার মাধ্যমে ৩০ডিং ভূমি রেজিষ্ট্রি ও তার মৃত্যুর রহস্য উৎঘাটনে সুস্থ্য তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানান। এব্যাপারে আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।