২৮ কোটি টাকার ত্রিমোহনী ব্রীজ ; পরিনত হয়েছে মরন ফাঁদে
সেতুটির ফলে সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলার মানুষ প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা কমিয়ে খুব সহজে গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়ক হয়ে ঢাকা-দিনাজপুর ও বগুড়ায় যেতে পারেন।
কিন্তু বর্ষা শুরুর আগেই হালকা বৃষ্টিতে সেতুর সংযোগ সড়ক ধসে গেছে। সংযোগ সড়ক ধসে পড়লে হুমকিতে পড়বে দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষের চলাচল। যানবাহনের জন্য মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে এই সংযোগ সড়ক। দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো মুহূর্তে ধসে পড়ে সেতুটি।
জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের সঙ্গে সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের কাটাখালি নদীর ওপর এলজিইডির অর্থায়নে ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ত্রিমোহনী সেতু নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে সেতুর পশ্চিম তীরের সংযোগ সড়ক ধসে গেছে।
মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের বৃষ্টিতে প্রথমে এক ফুট ধসে যায়। কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এখন সংযোগ সড়ক পুরোটাই ধসের মুখে। একই সঙ্গে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে এই সংযোগ সড়ক। রাতে যেকোনো গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
স্থানীয়রা জানায়, এই সংযোগ সড়ক বালু দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। হালকা বৃষ্টিতে বালু সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এরপর সড়ক ধসে গেছে। এখন মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় কাঁচামাল ব্যবসায়ী আব্দুল করিম বলেন, একটু বৃষ্টিতেই সেতুর সংযোগ সড়ক ধসে গেছে। বর্ষাকাল শুরু হলে সংযোগ সড়ক আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান বলেন, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার একান্ত প্রচেষ্টায় এই সেতুটি পেয়েছি আমরা। এতে যোগাযোগ সহজ হয়েছে আমাদের। কিন্তু নিম্নমানের কাজ করায় এখন সংযোগ সড়ক ধসে গেছে। সংযোগ সড়ক দ্রুত মেরামতের দাবি জানাই।
এ বিষয়ে সাঘাটা উপজেলা এলজিইডির কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. ছবিউল ইসলাম বলেন, সেতু ও সেতুর পূর্বপাশের সংযোগ সড়ক সাঘাটা উপজেলার আওয়ায়। পশ্চিমপাশের সংযোগ সড়ক গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার আওতায়। কাজেই সংযোগ সড়ক সংস্কার করতে হলে দুই উপজেলাকে করতে হবে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা এলজিইডির কর্মকর্তা প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, ত্রিমোহনী ওই সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারের জন্য এলজিইডি দফতরে আবেদন পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সংস্কার করা হবে।