হাতিয়ার কাপনের কাপড় জড়িয়ে প্রার্থীরা নির্বাচন অফিসে অবস্থান
নোয়াখালী প্রতিনিধি, বিধান ভৌমিক, ৩১ মে, ২০২২ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : সুষ্ঠ নির্বাচনের দাবিতে নোয়াখালীর হাতিয়ার দুই ইউনিয়নের প্রায় ৪০ ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থী নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। গায়ে কাফনের কাপড় জড়িয়ে ও হাতে বিষের বোতল নিয়ে অবস্থান নেন তারা। গতকাল ৩১ মে সকাল ১১ টায় তারা নির্বাচন অফিেসর সামনে এ অবস্থান নেই।
তারা বলের, স্থানীয় সংসদ সদস্য (নোয়াখালী-৬) আয়েশা ফেরদাউসের স্বামী মোহাম্মদ আলীর লোকদের অত্যাচারে তারা ভোটের প্রচার চালাতে পারছেন না। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও তারা কোনো প্রতিকার পাননি। এ কারণে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ দাবি করে নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন তারা। আন্দোলনকারীরা আরো বলেন, আগামী ১৫ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এর আগে হাতিয়ার নবগঠিত ১নং হরনী ও ২নং চানন্দি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের ওপর হামলাসহ প্রচার-প্রচারণা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মুসফিকুর রহমান বলেন, প্রাণনাশের হুমকিসহ নানা ভয়ভীতির মধ্যে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার চালাতে হচ্ছে। ইউনিয়ন দুটির পাশে মেঘনা নদী এবং রামগতি ও সুবর্ণচর উপজেলার সীমানা থাকায় সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। ১নং হরনী ইউনিয়ন ও ২নং চানন্দি ইউনিয়নে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রশাসনিক তৎপরতা জোরদার করা আবশ্যক।তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে হাতিয়া উপজেলার বাইরে থেকে প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার এবং প্রশাসনিক ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জনবল নিয়োগ করতে হবে। তা না হলে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সংসদ সদস্যের স্বামী তার অনুসারীদের দিয়ে প্রার্থীদের ওপর হামলাসহ নির্বাচনী কাজে বাধা দিচ্ছেন। বর্তমানে প্রার্থীদের সব কাজ বন্ধ রয়েছে। এর আগে হাতিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ার কারণে ভোটাররা আতঙ্কিত। তাই প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন।
সুষ্ঠ নির্বাচনের লক্ষ্যে ওই এলাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সার্কেল এসপিকে প্রত্যাহারসহ সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে হাতিয়ার (নোয়াখালি-৬) সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউসের মোবাইলে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।