গাইবান্ধা স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী গ্রেফতার
পুলিশ জানায়, আবুল কালামের দ্বিতীয় স্ত্রী শিউলি বেগম। দাম্পত্য কলহের কারণে আবুল কালামকে প্রায়ই মারধর করতেন শিউলি বেগম। ঈদের দুইদিন আগেও কালামকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন তিনি। এতে গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে বাড়িতেই মারা যান কালাম। তিনি সাদুল্লাপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মুয়াজ্জিন ছিলেন।
স্বজন ও প্রতিবেশীদের অভিযোগ, লাঠি দিয়ে এলোপাথারি মারধরে কালামের হাত-পা ও শরীর জখম হয়। কিন্তু চিকিৎসা না করে তাকে বাড়িতে আটকে রাখা হয় এবং তার সাথে কাউকে দেখা করতে দেয়া হয় না। এমনকি কালামের মৃত্যুর ঘটনাটি গোপনের চেষ্টা করে শিউলি। শিউলির অত্যাচার ও মারধরেই কালামের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তাদের।
নিহতের ছেলে মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সৎ মা দীর্ঘদিন ধরে বাবাকে মারধর ও নির্যাতন করতেন। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার পরেও তা গোপনের চেষ্টা করেন তিনি। এ ঘটনায় সৎ মা ও জড়িতদের সর্ব্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তিনি’।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাসুদ রানা জানান, নিহতের হাত-পা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অভিযুক্ত স্ত্রী শিউলিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা মর্গে পাঠানো হয়েছে।