এ মামলার আসামীরা হলেন, কুলতলী গ্রামের অফেজউদ্দীনের ছেলে ঘটক মহসীন হোসন (৩০), রামচদ্রপুর গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে সফিকুল (২৪), একই গ্রামের মৃত আব্দুল দফাদারের ছেলে আব্দুল হান্নান (২৭), দক্ষিন হাজীপুর গ্রামের দীঘির পাড় এলাকার আদম আলীর ছেলে সফিকুর রহমান বাবু (৩০) ও কাটাখালী গ্রামের আব্দুস সাত্তার গাইনছর ছেলে গোলাম রবানী (২৩)।
জানা যায়, শ্রীফলকাঠি গ্রামের ওই বিধবা নারী তার মেয়ের জন্য পাত্র দেখতে ঘটক মহসিন হোসেন ও মোটর সাইকেল চালক সফিকুর রহমান বাবুর সাথে একই উপজেলার কদমতলা এলাকায় যাওয়ার পথে তারা তাকে সন্ধ্যায় একটি চিংড়ি মাছের ঘেরে নিয়ে জোর পূর্বক আটকে রাখেন। এরপর তারা উক্ত ৫ জন পালাক্রমে তাকে ধর্ষন করেন।
একপর্যায়ে ওই নারীর আতচিৎকারে ঘের কর্মচারী আলমগীর হোসেন ও শুধাংসু মন্ডল তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ নজরুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে যান। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিমাংশার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে, তিনি ওই ওই নারীর পরিবারকে এখনও চাপ প্রয়োগ করছেন বিষয়টি মিমাংশার জন্য।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা এ ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষিতা ওই বিধবা নারীকে সন্ধ্যায় ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরা জানান, আসামীদর গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।