সকল ধর্মের মানুষ দেশকে স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধ করেছিল, তাই যার যার ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগের অধিকার রয়েছেঃ বড়দিন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৭ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, যেখানে সকল ধর্ম, বর্ণ ও ধর্মমতের মানুষ তাদের নিজস্ব মর্যাদা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে বসবাস করে। বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে জন্ম নেয়, যেখানে ১৯৭১ সালে সকল ধর্মের মানুষ দেশকে স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধ করেছিল, তাই জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে দেশের সকল মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগের অধিকার রয়েছে।
বৃহস্পতিবার গণভবনের সবুজ চত্বরে বড়দিন উপলক্ষে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময়প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেছেন। তিনি বড়দিনের প্রাক্কালে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সুখী ও সমৃদ্ধ জীবন কামনা করেন। ধর্ম যার যার এবং উৎসব সবার। বর্তমান সরকার দেশের সকল মানুষ যাতে একত্রে ধর্মীয় উৎসব ও জাতীয় কর্মসূচি পালন করতে পারে সেজন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। আর্থ-সামাজিক সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চমকপ্রদ অর্জনের কারণে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের মর্যাদার স্থান নিশ্চিত হয়েছে। এখন কোন দেশ বাংলাদেশকে উপেক্ষা করতে পারবে না।
পোপ ফ্রান্সিসের সফরের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর ঢাকা সফরে কেবল মাত্র খ্রীস্টান সম্প্রদায়ই নয়, সকল ধর্ম ও বিশ্বাসের লোকরা তাকে দেখে খুশী হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের পাশে থাকতে আহ্বান জানানোর জন্য পোপের প্রতি ধন্যবাদ জানান। আর্চবিশপ প্যাট্রিক ডি রোজারিও ক্যাথেলিক চার্চের প্রথম বাঙালি কার্ডিনাল হওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ গর্ব বোধ করছে। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আর্চবিশপ প্যাট্রিক রোজারিও পোপ ফ্রান্সিসের বাংলাদেশ সফরকালে তাঁর সরকারের সবধরনের সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। এ সময় সরকারের গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করে প্যাট্রিক ডি রোজারিও বলেন, সারা দেশ থেকে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের লোক ঢাকায় আসে এবং নিরাপদে তারা বাড়িতে ফিরেছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ভাইস প্রিন্সিপাল রেমন আরেঙ, বাংলাদেশ খ্রীশ্চিয়ান এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি জুয়েল আরেঙ এমপি, এসোসিয়েশনের সম্পাদক নির্মল রোজারিও এবং এশিয়া প্যাসেফিক এলায়েন্স অব ওয়াইএমসিএস সভাপতি মার্কাস গোমেজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। পরে প্রধানমন্ত্রী খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের উপস্থিতিতে বড়দিনের কেক কাটেন। প্রধানমন্ত্রী এসময় খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে খ্রীস্টমাস ক্যারল গান। শুরুতে দেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করে যিশু খ্রীস্টের আর্শীবাদ চেয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।