শিবগঞ্জে বিধি বর্হিভূত ভাবে প্রধান শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ, আদালতে মামলা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি, শাহ্ আলম, ২৬ জুলাই, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ পৌরসভাধীন শিবগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ে বেআইনী ও অবৈধভাবে শিবগঞ্জ উচ্চবিদ্যলয়ে পল্লী বিদ্যুৎ পুড়ানো সহ কয়েকটি নাশকতা মামলার আসামী শারিকুল ইসলামকে প্রধান শিক্ষক, একটি মাদ্রাসার শিক্ষককে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অন্য একজনকে পিয়ন পদে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিকার চেয়ে অভিভাবক সদস্য বাবুল খান নিয়োগ বাতিল চেয়ে শিক্ষা সচিব বরাবর আবেদন করেছেন। যার অনুলিপি কপি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। তবে কমিটির অভিমত হলো কোন ধরনের অনিয়ম ও দূর্নীতি হয়নি।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য বাবুল খানের স্বাক্ষরিত শিক্ষা সচিব বরাবর আবেদনে বলা হয়েছে যে, আমাকে না জানিয়ে গোপনে ও ০৪-০৫-২০১৭ খ্রী: তারিখের ১৫৫ নং রেজুলেশনে পরিচালনা কমিটির সদস্য শ্রী চন্দন কুমার বাড়ালার স্বাক্ষর জাল করে সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যোগসাজজ করে সম্পূর্ন বেআইনী ও অবৈধভাবে দূর্নীতির মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুৎ পুড়ানোর মামলার ১৮৬নং আসামী শারিফুল ইসলামকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, জিন্নুর রহমানকে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অন্য একজনকে পিয়ন পদে নিয়োগ প্রদান করেছেন।
আবেদনকারী জানতে পেরে তৎক্ষনাত প্রতিবাদ করলে তা অগ্রাহ্য করায় বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিকারের প্রার্থনায় একটি মামলা করা হয়। মামলা নং ১২২/২০১৭। যা বর্তমানে বিচারধীন রয়েছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৫জুলাই/১৮ সংশ্লিষ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত করেছেন।
তবে তদন্ত প্রতিবেদন এখনো আসেনি বলে জানা গেছে।মামলার বাদী বাবুল খান, কমিটির সদস্য শ্রী চন্দন কুমর বাড়ালা, স্থানীয় আওযামীলীগ সমর্থক ,জোহরুল ইসলাম, মতিউর রহমান, নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেন সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো অনেকেই জানান, শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে তিন জনের নিকট হতে ৪৮ লাখ টাকা কমিটির লোকজন নিয়েছে। তার মধ্যে প্রধান শিক্ষক শারিফুল ইললাম দিয়েছেন ২২ লাখ টাকা, সহকারী প্রধান শিক্ষক জিন্নুর রহমান দিয়েছেন ১৮ লাখ ও পিয়ন দিয়েছেন ৮ লাখ টাকা।
তবে এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শারিফুল ইসলাম আনিত অভিযোগগুলি অস্বীকার করে বলেন, আমরা কোন সদস্যের স্বাক্ষর জাল করিনি। শ্রী চন্দর কুমার বাড়ালা গত ২০-০৩-২০১৭খ্রী: তারিখে উপস্থিত ছিলেন শুধু সেদিনেই স্বাক্ষর রয়েছে। তবে সেদিনের সভায় নিয়োগ সংক্রান্ত কোন আলোচনা হয়নি। গত ০৪-০৫-২০১৭খ্রী: তারিখের বাবুল খান ও শ্রী চন্দন কুমার বাড়ালা উপস্থিত না হলেও আমাদের ৭জন সদস্য উপস্থিত থাকায় কোরাম পূর্ন হয়েছে।
আমাদের সমস্ত কাগজ পত্র সঠিক রয়েছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন আর্থিক লেনদেন হয়নি। সর্ম্পর্ন যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকুরী হয়েছে। নিয়মানুসরে বেতন ভাতা চালু হয়েছে। তিনি মামলার বিষয়টি সম্পূর্ন অস্বীকার করেন। সহকারী প্রধান শিক্ষক জিন্নুর রহমান বলেন, আমার যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে মাদ্রাসরা চাকুরী ছাড়িয়ে কোন ধরনের আর্থিক লেনদেন ছাড়াই বিধি সম্মত ভাবে কমিটি আমাকে নিয়োগ দিয়েছে।
কমিটির সভাপতি আহমেদ ইমতিয়াজ শিশির বলেন, মামলা হলেও নিয়োগের বিরুদ্ধে কোন নিষেধাজ্ঞা জারী হয়নি।কমিটির মিটিংএ কোরাম পূর্ণ রয়েছে। কমিটির কোন সদস্যের স্বাক্ষর জাল করা হয়নি এবং কোন দূর্নীতি হয়নি। তারা শুধু বিদ্বেষের বশবর্তী হয়ে বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা অভিযোগ করে আমাদেরকে হয়রানী ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি সাধানের চেষ্টা করছে।