শিবগঞ্জে অবৈধ জমির উপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলে অভিযোগ উঠেছে, প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি, মোঃশাহ্ আলম, ১৫ জুলাই, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জে এ, কিউ চৌধূরী নারী কল্যান উচ্চবিদ্যালয়টি অবৈধ জমির উপর পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের একজন প্রতিকার চেয়ে গত ১২ জুলাই শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে আগামী ১৭জুলাই কাগজ পত্র নিয়ে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে তদন্ত করার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) শ্যামপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে নির্দেশ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী হায়দার চৌধুরী স্বাক্ষরিত অভিযোগে জানা গেছে, ১৯৮০সালে তৎকালীন বিএনপির জনৈক নেতার সহযোগিতায় ৪৮নং খতিয়ানের মূল মালিক আব্দুল মালেক চৌধূরী হলেও দলিলে স্বাক্ষর রয়েছে আব্দুল কাদের চৌধূরী। যার দলিল নং ২৯০৯ নং তখন থেকেই ১৯৭১ সালে দেশীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় পাকবাহিনীর হাতে শহীদ আব্দুল বারী চৌধূরীর ওয়ারিশ আব্দুল কাদের চৌধূরী, হায়দার আলি চৌধুরী, নবাব আলি চৌধূরী ও সুলতান আলি চৌধুরীর ৬২নং খতিয়ানের ১ একর ২১ শতক জমির উপর স্কুল পরিচালনা করে আসছে।
আবেদনে উল্লেখ রয়েছে যে, তাদের সৃষ্টিকৃত জাল দলিলের খতিয়ান নং ৪৮ এবং এ জমির মালিক রেজা চৌধূরী, রব চৌধূরী, মালেক চৌধূরী ও আজিজ চৌধূরী। ৪৮নং খতিয়ানের জমি হতে ৬২নং খতিয়ানের জমি সম্পূর্ন আলাদা। আবেদনে আরো উল্লেখ রয়েছে যে, জমির প্রকৃত মালিক হায়দার চৌধূরী ও অন্যান্য ভাইগণ ১৯৮০সালে নাবালক থাকায় কোন তৎপরতা শুরু করতে পারেননি। পরে বিভিন্ন অফিসে ধর্না দিয়ে লাভ হয়নি। বরং আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে।
উল্লেখ্য যে, হায়দার চৌধূরী প্রতিকার চেয়ে শুধু শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরই আবেদন করেননি। জেলা প্রশাসক, দূর্নীতি দমন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, সহ বিভিন্ন দপ্তরে একই ধরনের আভিযোগ করেছেন।
এব্যাপারে নারী কল্যান উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মইনুল ইসলামের সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, হায়দার চৌধূরী আমাদের অহেতুক হয়রানী করছেন। নারী কল্যান উচ্চ বিদ্যালয়ের জমির দলিল সম্পূর্ন বৈধ। জমির খাজনা খারিজ করা আছে। বিদ্যালয়টি গত ৪০ বছর ধরে অত্যন্ত সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। তিনি আরো বলেন, আমরা হায়দার চৌধূরীকে কোন ধরনের হুমকী দিইনি। বরং তিনি আমাদের হুমকী দিয়েছেন।