রাশিয়া ইউক্রেন থেকে খাদ্য আমদানিতে বাধা নেই : বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ আগস্ট, ২০২২ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে খাদ্য আমদানিতে কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, বিশ্বের ২৪টি ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ডলার দিয়ে এই দুটি দেশ থেকে খাদ্য আমদানি করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত দেশের খাদ্য আমদানি ও মজুত এবং ইউক্রেন, রাশিয়া থেকে আমদানির সমস্যা নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রীর সাধন চন্দ্র মজুমদার ও দেশের বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে খাদ্য আমদানিতে সমস্যা এবং দেশের সার্বিক খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা সবাইকে জানাতে চেয়েছি রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে খাদ্য আমদানিতে আন্তর্জাতিকভাবে কোন সমস্যা নেই। আমরা ডলার দিয়েই আমদানি করতে পারি। অতএব ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওষুধ খাতে রপ্তানি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে এবং অন্যান্য খাত থেকেও যাতে ডলারের আয় বাড়ানো যায় সে চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ সময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, স্বস্তিদায়ক আমদানি ও স্বস্তিদায়ক পরিশোধ ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আপনারা দেখতে থাকেন গম চাল আসতে থাকবে। তিনি আরো বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে ওএমএসসহ খাদ্য বান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। এ কর্মসূচির আওতায় টিসিবির কার্ড ধারীরাও ১০ কেজি করে চাল সুলভ মূল্যে কিনতে পারবেন। টিসিবির ট্রাক থেকে টিসিবির পণ্য এক লাইনে এবং ওএমএস চাল আরেক লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবির কার্ড দেখিয়ে কিনতে হবে। খাদ্য-বান্ধব এ কর্মসূচির কারণে শিগগির চালের দামও স্থিতিশীল হবে বলে আশা করেন তিনি।
বৈঠক শেষে প্রাধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বৈঠকে ওষুধ রপ্তানি এবং গম ও সার আমদানি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা কিভাবে রাশিয়াতে ওষুধ রপ্তানি বাড়াতে পারি সে বিষয়ে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছি। আশা করি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খাদ্য ও সার আমেরিকার স্যাংশনের বাইরে। সুতরাং সার ও ওষুধ আমদানিতে বাধা নেই।
তিনি বলেন, স্যাংশনের পরে রাশিয়ায় ওষুধের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এ কারণে দেশটিতে ওষুধের চাহিদা বেড়েছে। এটা আমদাদের জন্য ওষুধ রপ্তানির সম্ভাবনা। এসব ওষুধ রপ্তানিতে কিছু রেজিস্ট্রেশনের বিষয় আছে। সেটা দ্রুত করতে পারলে রপ্তানি করা যাবে।
সালমান এফ রহমান বলেন, জ্বালানি তেলের বিষয়ে রাশিয়ার উপর স্যাংশন আছে। সুতারং স্যাংশনের বাইরে তো আমরা আনতে পারবো না। যে পর্যন্ত স্যাংশন তুলে না নেয়, সেটা আমরা দেখছি। ভারত থেকে তেল আনার বিষয়ে বলেন, যেখান থেকে কম দামে পাব সেখান থেকেই তেল আনব। সেটার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।