রাজারহাটে ঘড়ে খাবার নেই রেজিয়ার
রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি, ইব্রাহিম আলম সবুজ, ১০ এপ্রিল, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে অর্ধাহারে, কখনও একবেলা খেয়ে বর্তমানে জীবনযাপন করেছেন করোনা ভাইরাস সংক্রমণে রোধে লকডাউনে থাকা রেজিয়া বেগমের পরিবার। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয় এলা কেউ নেয় মোক কামোত রোজী রোজগার বন্ধ হওয়ায় গতকাল রাইতোত একনা বাসি ভাত নুন দিয়ে খায় য়া মুই শবেবরাতের রোজা রাখচোং আযান হবার সময় হয়েছে মুই ইফতার করিম, বাবা তোমরা থাকেন একনা। এমন হ্রদয় নিংড়ানো মায়া জড়ানো কথা বলে জননী ডুকে পড়লেন নিজ কুটিরে অবাক হয়ে রইলো প্রতিবেদক।
ঘটনাটি ৯ ই এপ্রিল বিকালে উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউপির কিসামত গোবদা গ্রামে মৃত সওয়াব আলীর স্ত্রী রেজিয়া বেগম এর পরিবার।সংসার জীবনে তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ের জননী। স্বামী মারা গেয়েছে কয়েক বছর আগেই দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে, ছেলের বৌ ও নাতী মিলে মাত্র ২ শতক জমিতে দুটি ঘড় মিলে একটি পরিবার। পাশাপাশি আরও কয়েকটি পরিবারের একই চিত্র ঐ এলাকার।
ইতি মধ্যে কথা হয় প্রতিবেশী, রমজান আলী ও শফিকুল ইসলাম বলেন, ছেলে রেজাউল ইসলাম রংপুর শহরে ভাড়ায় রিকশা চালিয়ে কোনরকমে সংসারের খরচ চালাতেন কিন্তু ভাইরাসে সংক্রমণ প্রতিরোধে রিকশা চালাও বন্ধ হয়ে গেছে বর্তমানে তারা অনেক কষ্টে জীবন যাপন করতেছে। করোনার ভাইরাস মহামারীতে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ হচ্ছে এখন মানবতার। করোনার যাতা কলে লন্ড-ভন্ড হচ্ছে মানুষ।
ছেলে রেজাউল জানান, কামাই রোজগার বন্ধ হওয়ায় ঘড়ে খাবার চাল নেই, তাই একজনের কাছে তিরিশ কেজি ধার নিয়েছি বাজার করবো হাতে টাকা নাই। ইফতার ও নামাজ শেষে রেজিয়া বেগম এর কাছে জানতে চেয়েছি সরকারি সুযোগসুবিধা পেয়েছেন কি? জবাবে বলেন, আছে বিধবা ভাতা কিন্তু তিন মাস পড়ে দেয় টাকা, এছাড়া এখন পর্যন্ত কিছু পাং নাই। কিন্তু করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের পক্ষের ত্রাণ কিংবা সামাজিক সংগঠনের সাহায্য পায়নি পরিবারটি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে, ঐ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছাদেকুল ইসলাম সাদেক, বলেন গত ২৪ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত তিনবার সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ এসেছে, আজও পরিষদে এই নামটি সহ ২০ দিয়েছি চেয়ারম্যানকে সেই তালিকার ১১ জনকে বাদ দিয়ে একাই সব তার মনোনীত ব্যাক্তির মাধ্যমে বিতরণ করেন। শুধু আমিই নয় অধিকাংশ সদস্যদের বাদ তিনি নিজের খেয়াল খুশি মতো যা ইচ্ছে তাই করেন।
ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মঞ্জু, এন্তাল হোসেন, মহুবর রহমান, সইদুল ইসলাম বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চেয়ারম্যান কে তালিকা প্রদান করলেও আমাদের তালিকার অধিকাংশ নাম বাদ দিয়েছেন চেয়ারম্যান। এবিষয়ে মুঠোফোনে কথা কথা হলে ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ কর্মকার জানান, সদস্যদের কাছে ফোন করে তালিকা চাইলে তালিকা দিবো দিচ্ছি করে দেয়না সময়মতো।