ভোলায় নিউজ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও মারধোর, মামলার স্বাক্ষীদরে প্রাণ নাশের হুমকি
ভোলা প্রতিনিধি, মো: ফরিদুল ইসলাম, ০২ মে, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : ভোলায মসজিদের ভুমি ধ্বসের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় ভোলা প্রতিনিধি ফরিদুল ইসলাম ও ক্যামেরাম্যান শাহীন আলম ভুট্ট আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে আহত সাংবাদিক ফরিদুল ইসলাম জানান, ভোলা সদর উপজেলাধীন পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডস্থ পক্ষিয়া বটতলা বাজার সংলগ্ন খাল থেকে, ঐ ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ফারুকের নেতৃত্বে প্রভাবশালী এক বালু ব্যবসায়ী অবৈধ ভাবে, খালপাড় সংলগ্ন স্থানীয় একটি জামে মসজিদের মাঠের সামনে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার ফলে, ভুর্গভস্থ মাটি সরে গিয়ে ভুমি ধ্বসের আশংকা সহ মসজিদের মাঠ নিচু হয়ে মসজিদ খালের দিকে ঝুকে পড়েন ও মসজিদটির এক পাশ দেবে যাওয়া শুরু করে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে আমি এবং আমার সহযোগী গত ২৭ এপ্রিল দুপুর আনুমানিক ১ টার সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে শুক্রবারের জুমার নামাজ আদায় করি । জুমার শেষে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা স্থানীয় এক মুসল্লীর কাছে ড্রেজার দিয়ে সরকারী খাল থেকে কারা বালু উত্তলন করছে সে বিষয় জানতে চাওয়া হলে, ঐ মুসল্লী কিছু বলতে গেলে, রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা ড্রেজার ব্যাবসায়ীর সন্ত্রাসী বাহিনীর এক সদস্য আমার পিছনে এসে সাইফুল নামের একব্যক্তি, আমার একহাতে থাকা উ ই র্স্মাট মোবাইল ফোন এবং অন্যহাতে থাকা ১টি সনি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। সাইফুল (৩৫) পিতা: কাঞ্চন বেপারী, তার সাথে থাকা শাহিন বেপারী (৩০) শাহাবুদ্দনি শিকদার (৪৫), আলী বেপারী, আলম, মানিকসহ অজ্ঞাত আরোও বেশ কয়েকজন মিলে আমাকে ও আমার সাথে থাকা ক্যামেরাম্যান শাহীন আলম ভুট্টকে এলোপাথারী লাথি, কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করে।
মারধরের এক পর্যায়ে আমাদের দুজনকে ধরে, জোর করে একটি অটো রিক্সায় করে, ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে সাবেক ফারুক মেম্বারের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ফারুক তার বাড়ীর ভিতরে বসে আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালামন্দ করে, পুনরায় লাঠি দিয়ে মারধর করে। আমার পকেটে থাকা টাকা, ১টি পেন ক্যামেরা নিয়ে যায়। ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন জানতে পেরে সাবেক ইউপি সদস্য ফারুকের বাড়ি থেকে সাংবাদিক মোঃ ফরিদুল ইসলাম ও শাহিন আলম ভুট্টো কে উদ্ধার করে চেয়ারম্যান তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। তিনি সাংবাদিক ফরিদের অবস্থা আশঙ্কা জনক দেখে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠান।
অভিযোগের ভিত্তিতে সরে জমিনে গেলে স্থানীয় শহিদ নামের এক ব্যক্তি সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে বলেন, সাইফুল (৩৫) পিতা: কাঞ্চন বেপারী, শাহিন বেপারী (৩০) শাহাবুদ্দিন শিকদার (৪৫), আলী বেপারী, আলম, মানিকসহ স্থানীয় প্রভাবশালী সাবেক মেম্বার ফারুক এর ক্ষমতার দাপটে বালুর ব্যবসা করে আসছেন। শহিদ আরোও বলেন, মসজিদের সামনে থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু নিয়ে যাওয়ার পর মসজিদের মাঠ নিচু হয়ে গিয়ে মসজিদটি খালের দিকে ঝুকে পড়ে। এ ব্যপারে গত ২৭ এপ্রিল ২০১৮ দুপুর অনুমান ২.৩০ ঘটিকার সময় স্থানীয় সাবেক মেম্বার ফারুক এর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি মুঠফোন দিয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে খবর দেয়।
সাংবাদিক মোঃ ফরিদুল ইসলাম এবং তার সহ কর্মীর উপর সাবেক মেম্বারের সামনে সাইফুল ও ১০/১৫ জন মিলে ব্যপক হামলা চালায়। জোর র্পূবক ভাবে সাংবাদিকদেরকে সাইফুল ও মেম্বারের আওতায় নিয়ে যায়। র্বতমানে সাংবাদিক ফরিদ ও তার ক্যামেরাম্যান ভূট্ট ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গোপন সংবাদে আরোও জনাযায়, ফারুক মেম্বার ও সাইফুল এর বিরুদ্ধে অবৈধ বালি ব্যবসা সহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন গত ০১-০৫-২০১৮ইং রাত্র ৮.০০ টার দিকে ঘটনাস্থলে স্বাক্ষীদের কাছ থেকে সাংবাদিক নির্যাতনের বিষয়টির খোঁজ খবর নেয়। স্বাক্ষীদের কাছ থেকে উক্ত বিষয়টি চেয়ারম্যান জানার পর, আসামী ফারুক, সাইফুল, শাহাবুদ্দিন সিকদার, শাহিন সহ আরোও কয়েকজন স্বাক্ষীদেরকে মোটা অংকের টাকা দিতে চায়।
মসজিদের মুসল্লিগন টাকা না নিতে চাইলে স্বাক্ষীগনকে এলাকা ছাড়া করবে ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করছেন। ০২-০৫-১৮ইং তারিখ সকাল ৯.০০ টার দিকে সাংবাদিক মোঃ ফরিদুল ইসলামকে সাবেক ইউপি সদস্য ফারুক বলেন, আমি ক্ষমতাশীল লোক এ ব্যপারে মামলা করলে আরোও ভয়াবহ অবস্থা করবে বলে হুমকি-দমকি দেন। এ ব্যপারে ভোলা সদর মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।