বেগমগঞ্জে চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসী হামলায় মহিলাসহ আহত-৩
মাদারীপুর প্রতিনিধি, আরিফুর রহমান, ০৬ জানুয়ারি, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : মাইজদী হকাস মাকের্টর ব্যবসায়ী ও বেগমগঞ্জের ভূপতিপুর গ্রামের আবদুল গফুর বাহারের নিকট চাঁদা দাবী করে পাশ্ববর্তী সাইফুল ও মহিন গংরা । আবদুল গফুর বাহার চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে সাইফুল ও মহিন গংরা হামলা চালায়। হামলায় মহিলা সহ ৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের কে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হচ্ছে (বেলাল হোসেন-(৪৫), আবদুল গফুর বাহার-(৩০), ইয়াসমিন আক্তার-(২৫), ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার দুপুরে।
আহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বেগমগঞ্জের ভুপতিপুর গ্রামের আবদুল গফুর বাহারের নিকট দীর্ঘ দিন যাবত সাইফুল ও মহিন গংরা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে চাঁদা দাবী করে আসছিল। এই বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ সাইফুল, রাব্বি, কামাল, হোরন, মহিন, আবদুর রহিম, হুমায়ুন সহ এলাকার একদল সন্ত্রাসী আবদুল গফুর বাহারের কাছ থেকে ২লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। এই নিয়ে আলী হোসেনর পুত্র আবদুল গফুর বাহার বাদী হয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ৩নং আমলী আদালত নোয়াখালীতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন যার নং- ৪৮৭। মামলাটি বর্তমানে বেগমগঞ্জ থানায় তদন্তাধীন রয়েছে।
মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন উপরোক্ত সন্ত্রাসীরা সঙ্গবদ্ধ হয়ে আলী হোসেনের পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আলী হোসেনর পুত্র বাহার, ভাই বেলাল হোসেন ও মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার গুরুতর আহত হয়। আহতদেরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভূক্তভোগিরা জানায় এর আগে ও আলী হোসেনের পরিবারের উপর কয়েক দফায় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এলাকায় মাদক ব্যবসা, জমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডরে অভিযোগ রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তাদের ভয়ে এলাকার নিরিহ মানুষ গুলো জিম্মি হয়ে পড়েছে।
ঘটনায় আবদুল গফুর বাহার বাদী হয়ে বিজ্ঞ বিচারিক ম্যাজিষ্ট্রেট ৩ নং আমলী আদালত, নোয়াখালীতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। যার নং – ৫০৩/২০২০।
আরও খবরঃ-
**আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৯নং কালাদরাপ থেকে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মোরশেদ আলম সাকা (এল.এল.বি)**
মাদারীপুর প্রতিনিধি, আরিফুর রহমান, ০৬ জানুয়ারি, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : আসন্ন নোয়াখালী সদর উপজেলার ৯নং কালাদরাপ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হইতে মনোনয়ন প্রত্যাশী তরুন প্রজন্মের প্রিয় মুখ ও উদীয়মান নেতা সদর সুবর্নচর আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী এম.পি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন এর আস্থাভাজন মোরশেদ আলম সাকা (এল.এল.বি) কে চেয়ারম্যান পদে নৌকার মাঝি হিসাবে দেখতে চায় ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই পছন্দের ব্যক্তিকে প্রার্থীরূপে দেখার প্রত্যাশ বাড়ছে।
শৈশবকাল থেকে রাজনীতিতে নিবেদিত প্রাণ ও আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের আস্থার প্রতীক। গ্রামকে শহরের রূপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের সমর্থন পেতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সমাজ সেবক এই নেতা। তৃণমূল আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, মোরশেদ আলম সাকা রাজনীতির মাঠে বহুবার প্রতিপক্ষের ঘাত-প্রতিঘাত, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তবুও তিনি মরহুম আব্দুল মালেক উকিলের আদর্শ বুকে ধারন করে আওয়ামী রাজনীতি থেকে আদর্শচ্যুত হয়নি বরং দলের কঠিন মূহুর্তগুলো তার সরভ উপস্থিতি ছিল দেখার মত।
এই প্রতিবেদকের সাথে একান্ত আলাপকালে মোরশেদ আলম সাকা বলেন জনপ্রতিনিধিত্ব হলো সমাজ সেবার অন্যতম মাধ্যম। আমি শৈশবকাল থেকে জনসেবার স্বপ্ন বুকে লালন করে আসছি। আর এই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে এবার নৌকার প্রার্থী হিসাবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দীতা করতে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস দলের জন্য আমার ত্যাগ তিতিক্ষা বিবেচনা করে আমার প্রাণপ্রিয় নেত্রী আমাকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী মনোনীত করবেন। ৯নং কালাদরাপ ইউনিয়নের ভোটাররা উন্নয়নের স্বার্থে দল মত নির্বিশেষে নৌকার বিজয় সু-নিশ্চিত করবেন বলে মনে করেন তিনি।
মোরশেদ আলম সাকা রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকার্ন্ডেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন। তিনি সব সময় মানুষের পাশে দাড়িয়ে সাহায্যে করে থাকেন। আগামী ইউপি নির্বাচনে তাকে নৌকার প্রতীকে মনোনয়ন দিলে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে গ্রামের বৈষম্য দূর করে কৃষি বিপ্লব,যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিসহ মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দূনীতি মুক্ত ৯নং কালাদরাপ ইউনিয়নকে একটি আধুনিক মডেল ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলবেন বলে সর্বস্তরের মানুষের বিশ্বাস।