বেগমগঞ্জে এমপি ও সাবেক মেয়র গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ: গোলাগুলি, ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগ, আটক-১৫
নোয়াখালী প্রতিনিধি, লূংফুল হায়দার চৌধুরী, ০৭ এপ্রিল, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মামুনুর রশীদ কিরন এমপি ও সাবেক চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সাল গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় হামলা পাল্টা হামলা, গোলাগুলি এবং ককটেল বিস্ফোরণে দুই পক্ষের অন্তত ১৪ জন অনুসারী নেতাকর্মি আহত হয় এবং দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত থেমে থেমে চৌমুহনী পৌরসভার চৌমুহনী রেললাইন এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিক আহতদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, পূর্ব বিরোধের জেরে চৌমুহনী পৌর এলাকার গণিপুরের বাসিন্দা আ.লীগ কর্মি টিটু ও করিমপুর এলাকার প্রান্তের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তারপর পূর্ব বিরোধের জেরে চৌমুহনী বাজারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মঙ্গলবার রাতে রেললাইন এলাকায় টিটু ও প্রান্ত গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভুট্রু মার্কেটের সামনে সাবেক মেয়র ফয়সাল অনুসারী কাউন্সিলর জাহাঙ্গীরের লোকজন এমপি কিরন গ্রুপের শিহাবকে তার সাথে থাকা লোকজনসহ তাকে ঘেরাও দিয়ে তাদের দুটি মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে গেলে গোলাগুলি, ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে অগ্নি সংযোগ ও দোকান ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে চৌমুহনী বাজারের ডিবি রোডের পাশে হোসেন মার্কেটের উপর থেকে গুলি ছোঁড়ার ঘটনাও ঘটে। এ সময় দু’পক্ষের ১৪ অনুসারী আহত হয়েছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো.মামুনুর রশীদ কিরন এমপির ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বেগমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকাদার জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।