বিএনপির অসহযোগ, জনগণ তাদের সঙ্গে অসহযোগ করবে : কাদের
তিনি এলাকার ভোটারদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা ভয় পাবেননা। নির্বাচন করতে হবে। আমাদের সংবিধানের ধারবাহিকতা থাকেনা। বাংলাদেশ আবার ওয়ান ইলেভেনের মত অস্বাভাবিক সরকারের হাতে বাংলাদেশকে তুলে দেওয়ার যড়যন্ত্র চলছে। যদি নির্বাচন চান দলে দলে এসে সকাল-সন্ধ্যা ভোট দিবেন। জনগণের সঙ্গে ভোটারদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিরা থাকবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, সকল প্রার্থীকে নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। ফাউল করলে খবর আছে। আমরা কারো জন্য তদবির করবো না। নির্বাচনে যারা বাধা দিবে তারা আইনী ব্যবস্থার মুখোমুখি হবে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচনে নেই বলে,এখানে খেলোয়াড নেই। ১৮৯৬ জন খেলোয়াড আছে। ফাইনাল খেলা হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বঁচাতে হলে সংবিধানকে বাঁচাতে হবে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বাঁচাতে হলে, আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অর্জনকে বাঁচাতে হলে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। তিনি আরও বলেন, বিএনপির পল্টন থেকে দৌড়াতে, দৌড়াতে পালিয়ে গেছে। অবরোধে কাজ হয়নি, অবরোধ ভুয়া। অবরোধে রাস্তায় জ্যাম বেড়ে গেছে। বিএনপি ফাউল করে লাল কার্ড খেয়েছে।
তারেক জিয়াকে ইঙ্গিত করে বলেন, এখন লন্ডন থেকে হাওয়া ভবনের চোরা। হাওয়া ভবনের ওই অর্থ পাচারকারী,চোরা, সেও বলে ট্রাক্স দিবেনা। সাহস থাকেতো আসো বাংলার রাজ পথে মোকাবেলা কর। টেমস নদীর পাড়ে বসে লম্বা লম্বা কথা। বিএনপিতে দন্ড ছাড়া কি কোন ভালো মানুষ নেই। খালেদা জিয়া দন্ডিত,তার পরিবর্তে তারেক রহমান দন্ডিত। দন্ডিত ব্যক্তি মানে দুর্নীতি গ্রস্থ। এ নেতার পেছনে কারা থাকবে। এর আগে তিনি তার নিজ বাড়িতে পৈতিক কবরস্থানে তার পিতা মাতার কবর জেয়ারত করে নির্বাচনীয় প্রচারণা শুরু কররন।
পথ সভায় সভাপতিত্ব করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যেগে এ পথ সভার আয়োজন করা হয়।