বগুড়ায় মুসলিম সেজে বিয়ে, পরে অস্বীকার
বগুড়া প্রতিনিধি, এম নজরুল ইসলাম, 0১ মার্চ, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : বগুড়ায় হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হয়ে মুসলিম মেয়েকে বিয়ের পর তা অস্বীকার করার অভিযোগ উঠেছে। বগুড়া প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন জেলার আদমদিঘী উপজেলার বাগিচাপাড়ার মোজাম্মেল হকের মেয়ে আফিয়া আক্তার জুঁই।
সংবাদ সম্মেলনে জুঁই বলেন, গত ২৩শে মার্চ ২০১৭ তারিখে বগুড়া সদরের হরিপুর গ্রামের অম্রিত চন্দ্র’র ছেলে কিশোর কুমার (পরে ধর্মান্তরিত নাম কিশোর) কে কাহালু উপজেলার মালঞ্চা ইউনিয়নের কাজী একেএম আনোয়ার হোসেনের অফিসে রেজিস্ট্রিমূলে একলাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে মুসলিম শরীয়তের বিধানে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
এরপর থেকে তারা ঘর সংসার করতে থাকে। সম্প্রতি কিশোর তার সঙ্গে অসদাচরণসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। এবং আফিয়ার সঙ্গে আর সংসার করবে না বলে তাকে জানিয়ে দেন। এরপর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ায় সে লোকমুখে জানতে পারে কিশোর পুনরায় হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করতে যাচ্ছে।
আফিয়া আক্তার আরো জানায়, কিশোরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপারের কাছে সহযোগিতা চাইলে কোনো আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে সে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার সংসার টিকিয়ে রাখতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
আফিয়ার সঙ্গে বিয়ে দেয়া কিশোরের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ধর্মান্তরিত বা বিবাহ রেজিস্ট্রির মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। নোটারি পাবলিকের যেসব কাগজ ওই মেয়ে দেখাচ্ছে তা ভুয়া বললেন তিনি। তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার বগুড়া শহরের চেলোপাড়ায় হিন্দু পরিবারের অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে তার বিবাহ।
এদিকে জুঁইয়ের সরবরাহ করা এফিডেভিটের কপি নিয়ে বগুড়ার নোটারি পাবলিক অ্যাড. নাজমুল হুদা পাপনের কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে তার রেজিস্ট্রারে গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০১৭ কিশোর কুমার নামের যুবক নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম হওয়ার ঘোষণা দেন।
এছাড়াও কাহালু উপজেলার মালঞ্চা ইউনিয়নের কাজী এ কে এম আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে গত ২৩শে মার্চ ২০১৭ কিশোর (নব মুসলিম) পিতা শ্রী অম্রিত চন্দ্র, সাং হরিপুর, থানা বগুড়া সদর নামের যুবক ও আফিয়া আকতার জুঁই পিতা মোজাম্মেল হক গ্রাম বাগিচা পাড়া থানা আদম দিঘী নামে একটি বিবাহ রেজিস্ট্রি হওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন।