ফৌজদারী মামলায় ঝিনাইদহ পৌরসভার সচিব মাসুম গ্যাড়াকলে !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক, ২১ মার্চ ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : ফৌজদারী মামলা থাকার কারণে ঝিনাইদহ পৌরসভার সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুম গ্যাড়াকলে পড়েছেন। তাকে যশোর থেকে ঝিনাইদহ পৌরসভায় বদলী করা হলেও বুধবার পর্যন্ত তিনি যোগদান করেননি। ফৌজদারী মামলা মাথায় নিয়ে ঘুরছেন যশোর পৌরসভার বিদায়ী এই সচিব। তার বিরুদ্ধে শ্রাবনী রায় নামে এক হিন্দু নারী মামলা করেছেন।
পুলিশ রিপোর্ট আসা পর্যন্ত তিনি আদালত থেকে জামিন নিলেও যে কোন সময় মন্ত্রনালয়ের আদেশে সাময়িক বরখাস্ত হতে পারেন এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নির্যাতিতর পরিবার। এদিকে ঝিনাইদহ পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন প্রায় ১০ বছর পর যশোরে বদলী হয়েছেন। মঙ্গলবার তিনি যশোর পৌরসভায় যোগদান করেছেন। তবে ঝিনাইদহ পৌরসভা থেকেও তিনি রিলিজ হননি।
সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুমের নামে মামলা থাকায় ঝিনাইদহ পৌরসভাও তাকে গ্রহন করবে না বলে এমন আভাস পাওয়া গেছে। কারণ তিনি দায়িত্ব গ্রহনের পর সাময়িক বরখাস্ত হলে পৌরসভার কাজ অচল হয়ে যেতে পারে। তিনি এখন আর যশোরেও ফিরতে পারছেন না। সেখানেও আরেকজন যোগদান করে ফেলেছেন। এই দোটানার মধ্যে তিনি পড়েছেন গ্যাড়াকলে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, যশোর শহরের খাজুরা এলাকার এক হিন্দু মাহিলাকে ধর্ম মা বলে ওই পরিবারের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুম।
তারপর ওই মহিলার মেয়ে শ্রাবনী রায়ের কাছ থেকে চার লাখ টাকা ধার নেন। টাকা নিয়ে টালবাহানা করতে থাকলে শ্রাবনী রায় যশোর পৌরসভার মেয়রের কাছে বিচার দেওয়ার হুমকী দেন। এরপর সুযোগ বুঝে বাসায় ঢুকে পৌরসভার সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুম শ্রাবনী রায়কে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় যশোরে। মামলা হয় যশোর কতোয়ালী থানায়।
দুই দিন আগে যশোর পৌরসভার মেয়রের প্রত্যায়নপত্র নিয়ে আদালত থেকে জামিন নিয়ে বদলী হন ঝিনাইদহে। কিন্তু নারীর উপর পৌরসভার সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুমের নির্যাতন করার খবরটি আর চাপা থাকেনি। যশোর থেকে ঝিনাইদহ পৌরসভায় জানাজানি হয়ে পড়ে। এতে অস্বস্তিতে পড়ে ঝিনাইদহ পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুম এখনো ঝিনাইদহ পৌরসভায় যোগদান করতে আসেননি। আর যোগদান করতে আসলেও তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা থাকার কারণে আমরা গ্রহন করছি না বলে জানান। বিষয়টি জানতে পৌরসচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।