ফেইসবুক লাইভে মিথ্যাচার কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ- আহত-৭
নোয়াখালী প্রতিনিধি, লূংফুল হায়দার চৌধুরী, ১৬ এপ্রিল, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মির্জা কাদেরের অনুসরী শাহাদাত সিফাতের ফেইসবুক লাইভে মিথ্যাচারের জের ধরে আ.লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় দুই গ্রুপের অন্তত ৯জন আহত হয়েছে। আহতরা হলো, আরমান (৪৩),মির্জা কাদেরের ছেলে তাশিক মির্জা (২৯), মিরাজ (৩৩)। তবে আহতদের মধ্যে আরমান ছাড়া বাকীদের আঘাত গুরুত্বর নয় বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার গেটের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, দুপুর ৩টার দিকে উপজেলা আ.লীগের অনুসারীরা ত্রাণ বিতরণ শেষে বসুরহাট বাজারে আসে। তখন মির্জা অনুসারী শাহদাত সিফাত আজকে দুপুরে বসুরহাট পৌরসভা ভবন থেকে ফেইসবুক লাইভে এসে উপজেলা আ.লীগ, যুবলীগ নেতাদের অকথ্য ভাষায় চরিত্র হনন করে বক্তব্য দেয়। তার এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে দেখে উপজেলা আ.লীগ নেতাকর্মিদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পরে তারা দুপুর ৩টার দিকে বসুরহাট বাজারে থানার সামনে জড়ো হয়ে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। খবর পেয়ে কাদের মির্জা কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ও ছেলে তাশিক মির্জা পৌরসভা থেকে তাদের অনুসারীদের নিয়ে জিরো পয়েন্ট হয়ে থানার সামনে মুখোমুখি অবস্থান নিলে দুই গ্রুপের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় মির্জা অনুসারী রাসেল ওরফে কেচ্ছা রাসেল গুলি ছুঁড়লে পরিস্থিতি আরো উপ্তত্ত হয়ে উঠে।
এক পর্যায়ে কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেলকে আটক করে নিয়ে যেতে চাইলে দ্রুত পরিস্থিতি পাল্টে যায় এবং দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৯জন আহত হয়। এক পর্যায়ে মির্জা অনুসারীরা উপজেলা আ.লীগ অনুসারী তার ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাতের থানা সংলগ্ন বাসায় ককটেল নিক্ষেপ করে। শেষে পুলিশ রাহাতের বাসা থেকে একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন।