প্রবাসীর সঙ্গে ফেইসবুকে প্রেম, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ, আটক-৪
মাদারীপুর প্রতিনিধি, আরিফুর রহমান, ৩১ আগস্ট, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : বায়েজিদ নামে ইতালী প্রবাসী এক যুবকের সঙ্গে ফেইসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের এক শিক্ষার্থীর (১৬)। ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রোববার সকালে বাড়ি থেকে ডেকে হোটেলে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ধর্ষক বিয়ে করতে অস্বীকার করায় ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দুপুরে মাদারীপুর শহরে ভূঁইয়া ইন: আবাসিক হোটেলে। এই ঘটনায় রাতে অভিযুক্ত বায়েজিদসহ ধর্ষণের সহযোগী ৪ জনকে আটক করেছে মাদারীপুর থানা পুলিশ। এব্যাপারে রোববার রাতে ওই শিক্ষার্থীর দাদী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে ।
পুলিশ ও নির্যাতিতার পরিবার জানায়, মাদারীপুরের শিবচরের ইতালী প্রবাসী বায়েজিদ মাতুব্বরের সাথে ৬ মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় মাদারীপুর সদরের মা-বাবা হারা ওই শিক্ষার্থীর। এরপর দুজনের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রোববার সকালে বিয়ের ব্যাপারে কথা বলার জন্য ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এসে মাদারীপুর শহরের ভূঁইয়া ইন: আবাসিক হোটেলে ওঠে। সেখানে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একাধিকবার ধর্ষণ করে বায়েজিদ।
পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় ওই শিক্ষার্থী ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে পালানোর চেষ্টা করে বায়েজিদ। পরে বিষয়টি জানতে পেরে কিশোরীকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
ওই কিশোরীরর ভাই জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বায়েজিদ এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনার এমন বিচার চাই, যা দেখে অন্যকেউ ভবিষ্যতে এমন কাজ করতে সাহস না পায়।
পুলিশ খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত বায়েজিদসহ ৪ সহযোগীকে আটক করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, শিবচর উপজেলার নিখলী গ্রামের আক্কাস মাতুব্বরের ছেলে বায়েজিদ মাতুব্বর (২০), রাজৈর উপজেলার পশ্চিম সরমঙ্গল গ্রামের মোতালেব শেখের ছেলে পিয়াস জামান (২৩), সদরের রাজারচর এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে শান্ত রহমান (২২), একই উপজেলার ব্রাহ্মদী গ্রামের মৃত বিশাই মোল্লার ছেলে রহমান মোল্লা (৫০)।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: নূরুল ইসলাম বলেন, “হাসপাতালে ভিটটিম একটি মেয়ে গতকাল ভর্তি হয়েছে। সোমবার তার ডাক্তারী পরীক্ষা হবে।”
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম মিঞা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন বলেন, “আমরা অভিযুক্ত বায়েজিদসহ ৪ জনকে আটক করেছি এবং ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে তার দাদী বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। আমরা তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”