পুলিশ সুপারের চ্যালেঞ্জ, বগুড়ায় মাদক ও ছিনতাই ঠেকাতে পুলিশের তৎপরতা
বগুড়া প্রতিনিধি, এম নজরুল ইসলাম, ১২ এপ্রিল, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : পুলিশের নেতৃত্ব সবসমই চ্যালেঞ্জিং। মাদক ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করলেন বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা। সাধারন মানুষের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব পুলিশের। আর এজন্যই মাদক ও ছিনতাই রোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।
বগুড়া সদর থানা এবং জেলার কাহালু, দুপচাঁচিয়া, আদমদীঘি, গাবতলী, সারিয়াকান্দি, নন্দীগ্রাম, শাজাহানপুর, ধুনট ও শেরপুরসহ সবকটি থানা পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। টহল জোরদার করার পাশাপাশি ছিনতাইকারীদের খুঁজছে পুলিশ। বিশেষ করে ছিনতাইকারীদের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে দিয়েছেন পুলিশ সুপার। এবার বগুড়ার মাটিতে ছিনতাইকারীদের ঠাঁই নেই। ছিনতাইকারীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি নাসির উদ্দিন ও কাহালু থানার ওসি শওকত কবির জানান, মাদক ও ছিনতাই ঠেকাতে জেলা পুলিশ সুপার কঠোর থেকে আরো কঠোর। অপরাধী যেই হোক, যতই ক্ষমতাধর হোক, কারো রেহাই নেই। ছিনতাইকারীদের ধরতে কঠোর নির্দেশ রয়েছে। চিহ্নিত ছিনতাইকারীদের তালিকা তৈরী করে অভিযান চলছে এবং চলবে।
এদিকে, বগুড়াকে নিরাপদ শহর হিসেবে গড়ে তুলতে ছিনতাইকারীদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। পুলিশ সুপারের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট (ইংরেজিতে লেখা- এসপি বগুড়া) থেকে পোস্ট করা একটি স্ট্যাটাসে বলা হয়েছে- ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। নিরাপদ বগুড়া গড়তে ছিনতাইকারীদের সম্পেের্ক তথ্য ইনবক্সে দিন। আপনার পরিচয় গোপন করা হবে। স্ট্যাটাস দেওয়ার পর থেকেই বেশ ভালো সাড়া পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা।
তিনি বলেন, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর থেকে জনগণের কাছ থেকে আমরা বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। তারা ইনবক্সে প্রচুর তথ্য দিচ্ছেন। তথ্য পাওয়ার পরপরই আমরা টিম পাঠিয়ে সেখানে অভিযান চালাচ্ছি। এ কাজটি এতটাই গোপনীয়তার সঙ্গে করা হচ্ছে যে, তথ্যদাতার নাম আমি ছাড়া অন্য আর কেউ জানতে পারছে না। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ছিনতাইয়ের বিরুদ্ধেও সোচ্চার থাকব আমরা। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই এ শহরকে নিরাপদ চান বলেও জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার।
অন্যদিকে, ২৫৮টি মোবাইল ফোনসহ ১৫ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে বগুড়া ডিবি পুলিশ। বুধবার (১১ এপ্রিল) শহরের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। ডিবি পুলিশের ওসি নুর-এ আলম সিদ্দিকী জানান, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারী। এরা ছিনতাইয়ের পাশাপাশি সুযোগ পেলে বিভিন্নস্থানে চুরি করে আসছিল।