নৌকা মার্কা নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে
নোয়াখালী প্রতিনিধি, বিধান ভৌমিক, ১৩ জানুয়ারী, ২০২২ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : বরিশাল জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মচারীর নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রচারে অংশ নেয়াকে নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগ এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সহিদ উল্যাহ খান সোহেলের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বিগত পাঁচ বছরে নোয়াখালী পৌরসভায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছেন এবং করোনাকালে মানুষের পাশে ছিলেন।
তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি পক্ষ ভোটারদের বিভ্রান্ত করার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্র করছে। ওই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গত সোমবার বরিশাল কালেক্টরেট অফিসের কিছু কর্মকর্তা কর্মচারী সরকারি চাকরিবিধি ও নির্বাচনী আরচণবিধি লংঘন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী লুৎফুল হায়দার লেনিনের মোবাইল ফোন প্রতীতের পক্ষে নোয়াখালীতে প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে জনগণকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে, হুমকি ধমকি, টাকা পয়সা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছে।
তিনি বলেন, গত পাঁচ বছর সহিদ উল্যাহ খান সোহেল ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন যা দৃশ্যমান। করোনাকালে যখন মানুষ ঘর থেকে বের হতো না তখন এই মেয়র মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েছেন। খাদ্য, নগদ অর্থ, চিকিৎসা সেবা, অক্সিজেন দিয়েছেন। আমাদের বিশ্বাস পৌরসভার জনগণ ভুল করবেন না।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খায়রুল আনম সেলিম বলেন, নৌকাকে হারানোর জন্য কালো টাকা বিতরণ হচ্ছে, সরকারি কর্মচারিদের ব্যবহার করছে একটি পক্ষ। কোন ষড়যন্ত্রই নৌকার বিজয় ঠেকাতে পারবে না। নৌকার প্রার্থী সহিদ উল্যা খান সোহেলের বিগত দিনের ব্যাপক উন্নয়ন, সততা, নিষ্ঠার কারণে কেবল আওয়ামীলীগ নয় দলমত নির্বিশেষে সবাই তাকে আবারও বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত করবে। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ১০ জানুয়ারি সোমবার রাতে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এল এ শাখার উচ্চমান সহকারি ও বরিশাল কালেক্টরেট সহকারি সমিতির সভাপতি মাহফুজুর রহমানসহ চতুর্থ শ্রেণির চার সদস্যের উপস্থিতিতে নোয়াখালী কালেক্টরেট সহকারি সমিতি অফিসে একটি সভার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
আগামি ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা নিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন বর্তমান মেয়র সহিদ উল্যাহ খান। এছাড়া স্বতন্ত্র (আ.লীগের বিদ্রোহী) লুৎফুল হায়দার লেনিন মোবাইল ও সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত বিএনপি জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কিরন কম্পিউটার, শহর বিএনপির সভাপতি আবু নাছের নারিকেল গাছ প্রতীকসহ মেয়র পদে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।