নোয়াখালী ইভটিজারদের কঠোর হুঁশিয়ারি : এমপি একরামুল
নোয়াখালী প্রতিনিধি, বিধান ভৌমিক, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : ইভটিজারদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আমি আপনাদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে, দেশের একজন আইন প্রণেতা হিসেবে স্পষ্ট ঘোষণা দিচ্ছি আমার এলাকায় কোন ইভটিজার থাকতে পারবেনা। এখানে কোন ছাত্রী বা কোন নারী পথেঘাটে কোন বখাটের কটুক্তির শিকার হয়েছে শুনলে সেই বখাটের খবর আছে। তাকে এমন শিক্ষা দেওয়া হবে যাতে আর কোন ছাত্রী বা কোন নারীর দিকে বাজে দৃষ্টিতে তাকাতে না পারে।
তিনি মঙ্গলবার সকালে নোয়াখালী সদর উপজেলার অশ্বদিয়া গার্লস হাই স্কুল এন্ড কলেজে সংবর্ধনা ও বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই হুশিয়ারি দেন। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্রদের উদ্দেশ্যে একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, তোমরা কোথাও ইভটিজিংয়ের শিকার হলে সাথে সাথে মুঠোফোনে আমাকে জানাবে, আমি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কয়েকদিন আগে কয়েকজন ছাত্রী আমার বাড়িতে গিয়েছিলো। আমি সাথে সাথে ইভটিজারকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। সেদিন যারা ইভটিজারদের বিরুদ্ধে আমার কাছে নালিশ দিতে গেয়েছ আমি তোমাদের সাহসের প্রশংসা করি।
এমপি একরাম বলেন, মনে রাখবে তোমরা একা নয়। আমি তোমাদের সাথে আছি। তোমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তোমরা সব সময় মনে সাহস নিয়ে পথে চলাফেরা করবে। আমি নিয়মীত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশ দিয়ে চলাফেরা করি। এই প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী যেনো অসুবিধায় না পড়ে প্রতিষ্ঠানের নতুন সভাপতি আমার পুত্র আতাহার ইসরাক সাবাব চৌধুরী সেলক্ষ্যে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে অশ্বদিয়া গার্লস হাই স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি আতাহার ইসরাক সাবাব চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন হলো স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করে নিজেদের এগিয়ে আসতে হবে। অতীতের ন্যায় স্কুলটির সুনাম অক্ষুন্ন্য রাখতে সবাইকে এক সাথে কাজ করার আহব্বান জানান সাবাব চৌধুরী।
অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা হয়। এ সময় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জেহান, সাবাব চৌধুরীর সহধর্মীনী সুমরান নাহিদ হাসান চৌধুরী, অশ্বদিয়া গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সফিকুল ইসলাম, অশ্বদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসিম মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক আলী আহম্মদ দুলাল, অভিভাবক আলমগীর কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও খবর:-
রেজিস্ট্রারকে অব্যাহতি সহ ৮ দফা দাবিতে নোবিপ্রবি উত্তাল, ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম
নোয়াখালী প্রতিনিধি, বিধান ভৌমিক, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বর্তমান রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পদ থেকে অব্যাহতিসহ আট দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কর্মবিরতিতে ৮ দফা দাবি তুলে ধরেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নোবিপ্রবি’র কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তারা এ কর্মসূচি পালন করে। এর আগে, সোমবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য বরাবর ৮ দফা সম্ভলিত অফিসার্স এসোসিয়েশন সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন পলাশ স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
কর্মসূচিতে বক্তরা বলেন, তাদের প্রধান দাবি হচ্ছে, ৭২ ঘন্টার মধ্যে বর্তমান রেজিস্ট্রারের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) থাকা ব্যক্তিকে পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান। দ্বিতীয় দাবি হচ্ছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থায়ী পদে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রেজিস্ট্রার নিয়োগ প্রদান করা। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। তবে আমাদের কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে জরুরী সার্ভিস সমূহ, ক্লাস পরীক্ষায় সহযোগিতাকারীগণ এবং লাইব্রেরী রিডিং কক্ষের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।
এছাড়া তাদের আরো দাবি গুলো হলো, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমিতির অনুমোদন প্রদান। আগামী সাত দিনের মধ্যে মাস্টার রোল ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকুরী স্থায়ীকরণ এবং সদ্য স্থায়ীকৃত কর্মচারীদের আপগ্রেডেশন নিশ্চিত করণ। আগামী এক মাসের মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ ও পদোন্নয়ন নীতিমালা সংশোধন করা এবং তিনটি আপগ্রেডেশন সহ টেকনিক্যাল-নন টেকনিক্যাল পদে নীতিমালা সংশোধন।
আগামী সাত দিনের মধ্যে কর্মচারী নিয়োগ বোর্ডে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকুরী স্থায়ীকরণ এবং অতীত চাকুরি কাল গণনা কমিটি সহ কর্মকর্তা কর্মচারী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কমিটিতে কর্মকর্তাদের দিয়ে কমিটি পুনর্গঠন করা। সহকারী রেজিস্ট্রার/সমমান ৭ম গ্রেড হতে ৬ষ্ঠ গ্রেড এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার সমমান ৫ম গ্রেড হতে ৪র্থ গ্রেডের অফিস আদেশ বাস্তবায়ন করা। অনতিবিলম্বে প্রশাসনের বৈষম্যমূলক আচরণ ও দ্বৈতনীতি বন্ধ করতে হবে।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স এসোসিয়েশন সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন পলাশ জানান, ৮ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে আরো বড় পরিসরে কর্মসূচি পালন করা হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, বিকালে উপাচার্যের সাথে আমাদের বৈঠক রয়েছে। বৈঠক শেষে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জসিম উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অথরিটির সাথে কথা বলেন। ওখানে উত্তর আছে। তবে তার বিরুদ্ধে স্মারক লিপিতে কোনো অভিযোগ নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক দিদারুল আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।