নোয়াখালীতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন
বুধবার (৭ই জুন) সকালে কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক বাজারে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন পালিত হয়। মানববন্ধনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এলাকাবাসী, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ প্রায় ৩ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহন করে।
মানববন্ধনে ধানশালিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, আমার মেয়ে চাপরাশিরহাট এ রব সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় নবম শ্রেণিতে পড়ে। মাদরাসায় আসা-যাওয়ার পথে স্থানীয় সন্ত্রাসী আতিক উল্লাহর নেতৃত্বে বখাটে আকাশ একরাম, দিপু ও টুটুলসহ কয়েকজন আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো। তারা নানাভাবে যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দেয়। বিষয়টি আমার ছেলেকে জানালে আমার ছেলে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসা করতে যায়। এ সময় বখাটেরা ছেলেকে বেধড়ক মারধর করে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন টিটুকে খবর দিলে তিনিও আসেন। পরে ওই চেয়ারম্যানের সামনে বখাটেরা কয়েকজন মিলে আমাদের ওপর লাঠিসোটা ও লোহার রড নিয়ে হামলা চালায়। আমার ছেলেকে রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং আমি লাঞ্ছিত হই। হামলায় আমার ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক জিহাদ গুরুত্বর আহত হয়। এ বিষয়ে কবিরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হইরানির শিকার আতিক উল্লাহ জানান, আমি গত ইউপি নির্বাচনে ধানালিক ইউনিয়নে আ.লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান ইয়াকুব নবীর পক্ষে কাজ করি। সেই নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র ভোট করেছে বর্তমান চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন। নির্বাচনের পর থেকে সে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হইরানি করে আসছে। আমার একটি মেয়ে বিয়ে দিয়েছি আরেকটি মেয়ে অনার্সে পড়ে। আমি ৪৫:বছর বয়সে তার ১৪ বছরের মেয়েকে ইভটিজিং করব আপনাদের মনে হয় কিভাবে? আপনারা এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানেন যে আমার বিরুদ্ধে এহেন কোন অভিযোগ আছে কিনা। ঘটনার দিন চেয়ারম্যানের ছেলের নেতৃত্বে কয়েকজন কিশোর গ্যাং এর ছেলেরা এসে আমার এলাকার দিপু নামের এক ছেলেকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে আটক করলে খবর পেয়ে সেখানে আসেন ধানশালিকের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন। তিনি ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করে উল্টো উস্কানিমূলক আচারণ করায় তাদেরকে অবরুদ্ধ করেন এলাকাবাসি। আমি খবর পেয়ে রাত নয়টায় চাপরাশিরহাট বাজার থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি এটাই আমার অপরাধ। এঘটনায় সংসদ সদস্য সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের হস্তক্ষেপ ও প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।