নোয়াখালীতে তিন খুনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি

নোয়াখালী প্রতিনিধি, বিধান ভৌমিক, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : ২০১৬ সালের ২১ মার্চ নোয়াখালী সরকারি কলেজের পুরাতন ক্যাম্পাস পাশ্ববর্তী বেগমগঞ্জ উপজেলার উত্তর অনন্তপুর এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজিব, ওয়াসিম ও ইয়াসিন নামে তিনজনকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসি।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করে তারা। মানববন্ধনে নিহতদের স্বজন ও পরিবারের লোকজনও উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ঘটনার দিন দুপুর ২টার দিকে মামলার অভিযুক্ত ৪নং আসামি সৌরভ নোয়াখালী সরকারি পুরাতন কলেজ হোস্টোলের পুকুরে তার কুকুরকে গোসল করাচ্ছিল। এসময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবক আনোয়ারের সাথে তার বাকবির্তক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওইদিন সন্ধ্যায় এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে শালিসি বৈঠক হওয়ার কথা ছিলো। শালিসি বৈঠকে আনোয়ারের পক্ষ নিয়ে যায় তার বন্ধু ফজলে হুদা রাজিব ও ওয়াসিম।

বৈঠক চলাকালে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সাজু, সুলতান, সৌরভ ও বাপ্পিসহ একদল সন্ত্রাসী আনোয়ার রাজিব, ওয়াসিম ও ইয়াছিনের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারিরা প্রথমে তাদের হকষ্টিক, লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। পরে সাজু তার সাথে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে রাজিবকে গুলি করে। এসময় রাজিবকে উদ্ধার করতে গেলে সুলতান গুলি করে ওয়াসিমকে আর সৌরভ গুলি করে ইয়াছিনকে জখম করে। পরপর অনেকগুলো ককটেলের বিষ্ফোরণ করে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজিবকে মৃত ঘোষণা করে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পর ওয়াসিম ও ইয়াছিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের দু’জনের মৃত্যু হয়।

ঘটনায় নিহত জফজলে হুদা রাজিবের মা কামরুন নাহার বাদি হয়ে ৮জনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আদালতে পৃথক আরও দু’টি মামলা করা হয়, যেখানে আসামি করা হয় ১১জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। ঘটনার পর থেকে এ পর্যন্ত পুলিশ মামলার ৭নং আসামি ফয়সাল মাহমুদ রাব্বিকে গ্রেপ্তার করে। অপর আসামিরা দেশে ও দেশের বাহিরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারে কোন ভূমিকাই নিচ্ছে না। বক্তারা, ত্রিপল হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার পূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দারি করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *