নীলফামারী পৌরসভার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা
নীলফামারী প্রতিনিধি, মো. শাইখুল ইসলাম সাগর, ৩০ জুন, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নীলফামারী পৌরসভার আগামী অর্থবছরের উন্নয়ন কর্মকান্ডের পরিকল্পা হাতে নিয়ে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জনগণের মতামত এবং করনীয় বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ। মঙ্গলবার ৩০ জুন সকালে পৌর ভবনের ৩য় তলায় ২০২০-২০২১ইং অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বিগত অর্থ বছরের উন্নয়ন ও অসমাপ্ত কাজের বিবরণ তুলে ধরেন।
তিনি জানান, নীলফামারী পৌরসভার ১৯৭৩ সালে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭৪ সালে তৎকালীন রংপুর জেলা পরিষদের মাধ্যমে পৌর মার্কেট ও খয়রাত হোসেন মার্কেটর জমি রাস্তা-ঘাট রাস্তার পার্শ্বের গাছ-পালা পৌরসভার অনুকুলে হস্তান্তর করেন। তৎকালীন চেয়ারম্যান মরহুম আহসান আহম্মেদ পৌরসভার ব্যয় নির্বাহের জন্য পৌর মার্কেট ও খয়রাত হোসেন মার্কেট নির্মান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে পৌরসভার উন্নয়নে ৩য় শ্রেণি থেকে পৌর বাসীকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নিত করে নাগরিকদের সকল সেবা প্রদানে কাজ করে যাচ্ছি। পুরাতন মার্কেট ভেঙ্গে ইউজিআইআইপি-২ প্রকল্পের মাধ্যমে পৌর সুপার মার্কেট নির্মান করা হয়।
এছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডে নাগরিকদের সকল সুযোগ সুবিধা রাস্তা-ঘাট, ড্রেন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য উন্নতমানের ডাস্টবিন স্থাপন ও তা ব্যবহারে জন্য জনগণকে সচেতন করা হয়েছে। প্রতি বছরেই ডেঙ্গু ও মশক নিধনে প্রথম থেকেই প্রতি ওয়ার্ডে কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ৩২তম বাজেট অধিবেশন তিনি আরো বলেন যে, পৌরবাসির দীর্ঘদিনের দাবী ছিল একটি শিশু পার্ক নির্মানের। ব্যস্ততম শহরে শিশুদের বিনোদনের জন্য বরাদ্দ করে শেখ রাসেল শিশু পার্ক নির্মানের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করা হয়।
কিন্তু পথি মধ্যে উক্ত স্থানে জেলা পরিষদ কর্তৃক মামলা জটিলতায় শহরের শিশু সন্তানদের দীর্ঘ প্রত্যাশিত শিশু পার্ক নির্মান কাজ স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে শিশুদের সাংস্কৃতিক ও মানষিক বিকাশে চিত্ত বিনোদনের জন্য বহুকাঙ্খিত শিশু পার্কটি জরুরী থাকায় শিশু পার্কের বিভিন্ন রাইডস গুলি পৌর ভবনের পার্শ্বে সংরক্ষন করা হয়েছে।
এসময় পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, উত্তর জনপদের জেলা নীলফামারী পৌরসভার আয়তন ২৯.৭৫ বর্গকিলোমিটার যার জনসংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার। নতুন অর্থ বছরে পৌর বাসির নাগরিক সুযোগ সুবিধা ও উন্নয়ন কর্মকান্ডে বাজেট ধরা হয়েছে রাজস্ব আয় ৬ কোটি ৭৮ লক্ষ ৫৩হাজার ৩৫ টাকা এবং উন্নয়ন আয় ৬১ কোটি ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
আশা করি আপনাদের সচেতনতা ও সাহায্য সহযোগিতায় আমি আমার অভিষ্ট লক্ষে উপনীত হয়ে নীলফামারী পৌরবাসভাকে একটি নাগরিক বসবাসযোগ্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পৌরসভা উপহার দিতে পারব। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাদশা আলমগীর, কাউন্সিলর আনিছুর রহমান আনিছ, ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়া কর্মী সহ পৌরসভার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।