নীলফামারীতে পৈত্রিক জমির স্থাপনা ভেঙ্গে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ
নীলফামারী প্রতিনিধি, মো. শাইখুল ইসলাম সাগর, ২৮ এপ্রিল, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নীলফামারীতে দীর্ঘ ১ শত বছর ধরে ভোগদখলীয় পৈত্রিক জমির উপর ঘর-বাড়ি, বাঁশঝাড়, গাছপালা ভেঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এলিনা আকতারের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে ১৩ টি ভূমিহীন পরিবারের আবেদন।
অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করায় এলাকার ১৩ টি পরিবারের শিশু সহ প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ এখন ভূমিহীন। কাজে বাঁধা দিলে জমির মালিকদের বিভিন্ন মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে কাজ চালিয়ে যান তিনি। এমনটাই আবেদন সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড পশ্চিম কুচিয়ামোড় (শাহ্পাড়া) এলাকার ভূমিহীন ১৩ টি পরিবারের। কুল-কিনারা হারিয়ে নিরুপায় হয়ে জমি ফেরতের আশায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর আকুল আবেদন করেছেন তারা।
আবেদনের সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, পশ্চিম কুচিয়ামোড় (শাহ্পাড়া) এলাকার জে, এল নং-৯৬, খতিয়ান নং- সি. এস ৯৩২/১, এস. এ দাগ নং- ২৬০১, বি. এস দাগ নং-৩৮৬৭ এর ৮২ শতক জমিতে অবৈধ ভাবে প্রধানমন্ত্রীর ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। অথচ উক্ত খতিয়ানে ১৩ টি পরিবারের পূর্ব পুরুষ কেবারতুল্লাহ, পিতা- আমানতুল্লার নামে চূড়ান্ত প্রচারিত আছে। তাই তপশীল বর্ণিত সম্পত্তিতে বংশানুক্রমে দীর্ঘ ১ শত বছর ধরে বসবাস করে আসছেন তারা। জমি হারিয়ে নীলফামারী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করার পরে মহামান্য আদালতের পাঠানো কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার পরেও অনায়াশে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে নির্বাহী অফিসার সহ তার সহকারী কমিশনার (ভূমি)। যাহার মামলা নং- অন্য ৫৯/২১ তারিখ ০৯/০৩/২১।
জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এলিনা আকতার বলেন, এস. এ এবং আর. এস দু’টি রেকোর্ড সরকারের নামে। এস. এ তে জমির পরিমান ৮৬ শতক এবং আর. এস.এ জমির পরিমান ৮২ শতক। বসতবাড়ি ভাঙ্গা হয়নি ফাঁকা জায়গায় ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। তারা মামলার মাধ্যেমে জমির রায় পেলে ঘরের অংশীদার হবেন।