নীলফামারীতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
নীলফামারী প্রতিনিধি, মো. শাইখুল ইসলাম সাগর, ৩১ জুলাই, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নীলফামারী জনস্বাস্থ্য অফিসের নলকুপের পাইপ ভেজালে ভরপুর। বরাদ্দকৃত ষ্টিমেট অনুযায়ী নলকুপের পাইপ দেওয়া হচ্ছেনা ভুক্তভোগিদেরকে। অভিযোগে জানা যায়, স্থানীয় কারখানায় তৈরী নিম্নমানের পাইপ দিয়ে চলছে ডিপ টিউবঅয়েলের কাজ।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী গত ২২-০৯-২০২০ইং তারিখে নীলফামারীতে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতা, স্টাফদের সাথে অসৎ আচরন এবং নিয়ম বর্হিভুত ভাবে তার পছন্দ মতো ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেন। যার কারনে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দায় সারা ভাবে বরাদ্দকৃত ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় স্থানে নলকুপ স্থাপন করে দিয়ে আসেন নিম্নমানের পাইপ দিয়ে। যা সাধারন মানুষ প্রতারণার স্বীকার হচ্ছেন। জনস্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলী দেখেও না দেখার ভান করে অফিস চালিয়েছেন।
জনস্বাস্থ্য অফিস সূএে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থ বছরে প্রায় ৭ কোটি টাকার কাজ হয় জনস্বাস্থ্য অফিসে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, বরাদ্দকৃত নলকুপের পাইপ জনস্বাস্থ্য অফিসে না রেখে, সেগুলো নীলফামারী শহরস্থ মানিকের মোড়ের পাশে কুদ্দুছ চৌধুরীর স্থানীয় পাইপ কারখানায় রাখা হয়। অফিসে রাখার অনেক জায়গা থাকলেও কেনো জানি নি¤œমানের কারখানায় রাখেন, এটা বলা মুশকিল। স্থানীয় কারখানায় জনস্বাস্থ্যের পাইপ রাখাটা নিয়মবর্হিভুত মনে হয়।
সরেজমিনে কুদ্দুস চৌধুরীর পাইপ কারখানায় গিয়ে দেখা পাওয়া যায়, নলকুপ বরাদ্দকৃত ভুক্তভোগী সদরের সংগলশী ইউনিয়নের রমেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে বিরেন্দ্র নাথ রায় ও একই এলাকার রতন চন্দ্র রায় বলেন, আমরা নলকুপ, পাইপ বরাদ্দ পেয়েছি জনস্বাস্থ্য থেকে। কিন্তু এগুলো মালামাল জনস্বাস্থ্য অফিস থেকে না দিয়ে কুদ্দুস চৌধুরীর পাইপ কারখানা থেকে আমাদেরকে দিয়েছে। আমরা এই স্থানীয় কারখানা থেকে ভ্যানে করে নলকুপ, পাইপ ও মালামালা নিয়ে যাচ্ছি বাড়ীতে। আমাদেরকে কুদ্দুস চৌধুরীর স্থানীয় পাইপ মিশাল করে দিয়েছে। বিষয়টি ভেজাল ও অনিয়ম মনে হচ্ছে।
স্থানীয় কারখানায় জনস্বাস্থ্যের পাইপ ও টিউবয়েল রাখার বিষয়ে কুদ্দুস চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য অফিসে জায়গা না থাকার কারনে আমার এখানে রেখেছে। অপর দিকে নাম প্রকাশ করার শর্তে ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন, কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে একাধিক ঠিকাদারের কাছে থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এবং একই রেডকোট বিভিন্ন ঠিকাদারকে দেওয়ায় বিষয়টি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বিভিন্ন অনিয়ম ও কাজ পাইয়ে দেওয়ার কাথা বলে বিভিন্ন ঠিকাদারের কাছে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয় এবং কুদ্দুস চৌধুরীর কারখানায় অফিসের মালামাল রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. মোকাররম হোসেন কৌশলে এসব বিষয় এড়িয়ে যান ও বলেন আমার চাকুরী শেষের দিকে আমি কয়েক দিনের মধ্যে চলে যাবো। আপনাদের কে কিছু বলতে পারব না।