নাটোরে শীত মৌসুমে ৫৩ কোটি টাকার খেজুর গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা
নাটোর, ২৭ নভেম্বর, ২০১৭ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : শীত মৌসুমে জেলায় ৫৩ কোটি টাকার প্রায় ৯ হাজার টন খেজুর গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ প্রায় সাড়ে চার লাখ খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। শীত মৌসুমে গ্রামীণ জনপদে খেজুর গাছকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড আরোও গতিশীল হচ্ছে।
নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, জেলার ৭টি উপজেলায় মোট খেজুর গাছের সংখ্যা পাঁচ লাখ ২৯ হাজার ৭৩২টি। কিছু গাছ অপরিপক্ক এবং কিছু গাছ না কাটায় রস সংগ্রহের উপযোগী চার লাখ ৪৩ হাজার ৭৭০টি গাছ থেকে গাছ প্রতি গড়ে ১৮৬ লিটার করে প্রতিটি গাছ থেকে গড়ে ২০ কেজি করে আট হাজার ৮৭৫ টন গুড় উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ন্যুনতম ৬০ টাকা কেজি হিসেবে উৎপাদিত গুড়ের বাজার মূল্য ৫৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা।
গ্রামীণ জনপদের নবান্ন উৎসবের অপরিহার্য উপাদান খেজুরের রস আর গুড়। শীত মৌসুমকে কেন্দ্র করে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে খেজুর গাছ থেকে রস আহরন করে গুড় তৈরির কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। গুড় তৈরিতে খেজুর রস জ্বাল দেওয়ার সময় মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামীণ জনপদের বাতাসে। শীতের সকালে সোনা ঝরা রোদে খেজুরের রস আর মুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা। শহর থেকে অনেকে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসতে শুরু করেছেন- খেজুরের রস আর টাটকা খেজুর গুড়ে তৈরি রকমারী পিঠাকে উপলক্ষ করে।
খেজুর গাছ ফসলের কোন ক্ষতি করেনা বরং মাটির ক্ষয় রোধ করে। এ গাছের জন্য বাড়তি কোন খরচ করতে হয়না। ঝোপ-জংগলে কোন প্রকার যত্ন ছাড়াই বড় হয়ে উঠে খেজুর গাছ। শুধুমাত্র শীত মৌসুমেই নিয়মিত পরিস্কার করে রস সংগ্রহ করা হয়। রস এবং গুড় ছাড়াও খেজুর গাছের পাতা দিয়ে মাদুর তৈরি ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়। টিনের চালা ঘরের তীর তৈরিতে খেজুর গাছ অনন্য।