নরসিংদী সিনিয়র স্টাফ নার্স হত্যার অভিযোগ; স্বামী আটক
নরসিংদী প্রতিনিধি, কে.এইচ.নজরুল ইসলাম, ০৯ অক্টোবর, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নরসিংদী সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স তাহমিনা সুলতানা শিমুকে (৩২) গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে সদর উপজেলার চিনিশপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার এক ভাড়া বাসায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত তাহমিনা জেলার বেলাব উপজেলার বাজনাব ইউনিয়নের হাড়িসাংগান গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সুলতান উদ্দিনের মেয়ে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোঃ আলাউদ্দিন মিঠু বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের পরিবারের লোকজন সাংবাদিকদের জানান, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়িসহ পারিবারের লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এ ঘটনায় একবার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে একবছর আলাদা থাকেন তাহমিনা। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যদের সমঝোতায় সংসার শুরু করলেও যৌতুকের জন্য চাপ কমেনি। তারপর বুধবার রাতে তাকে গলাটিপে হত্যা করেন স্বামী রুহুল আমিন।
সংবাদ পেয়ে নিহত তাহমিনার আপন খালা পারুল আফ্রাদ অচেতন অবস্থায় বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের বড় ভাই আলাউদ্দিন মিঠু সাংবাদিকদের বলেন, সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছিল। গত ২১ সেপ্টেম্বর নরসিংদী সদর হাসপাতালে যোগদান করে গত ২ অক্টোবর নরসিংদীর বাসায় ওঠে। তার শ্বশুর-শাশুড়ি সব সময় যৌতুকের জন্য নির্যাতন করত। এবার তাকে মেরেই ফেলল।
নিহতের বড় বোন সাদিকুন নাহার রিপা বলেন, গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোবাইলে আমার সাথে শিমুর কথা হয়। শিমু জানায়, সন্ধ্যায় শ্বশুর তার স্বামীকে ফোন করে টাকার জন্য চাপ দেয়। এর পর রাতেই শুনতে পায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। নরসিংদী সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী বলেন, প্রাথমিক সুরতহালে হত্যার আলামত হিসেবে গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে।