নরসিংদী সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের থামবই গায়েব, অভিযোগ নকল নোবিস শফিকের বিরুদ্ধে
নরসিংদী প্রতিনিধি, কে.এইচ.নজরুল ইসলাম, ২৫ জুন, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নরসিংদী সদর সাব রেজিষ্ট্রার মো: নুরুল হক ও নকল নোবিস শফিকের যোগসাজেসে অফিসের থামবই গায়েবের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও বালাম বই কাটাছেড়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে যার ফলে দলিল দাতা গ্রহিতারা পড়ছেন চরম বিপাকে।থামবই না থাকার কারনে কোনো জাল দলিল সৃজন হলে প্রমান করার আর কোনো উপায় নেই বলে জানিয়েছেন দলিল দাতা ও গ্রহিতারা।
এছাড়াও দীর্ঘদিন যাবৎ নরসিংদী সদর-সাব রেজিষ্ট্রার মো: নুরুল হক মিয়ার ছত্রছায়ায় অফিসের কিছু সংখ্যক কর্মকর্তার যোগসাজেসে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে শফিক নামের এক নকল নোবিসের বিরুদ্ধে।একটি চক্র সংঘবদ্ধ ভাবে নরসিংদী সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ভুক্তভোগীদের জিম্মি করে ঘুষ বাণিজ্য, দুর্নীতি-অনিয়ম ও হয়রানি চালিয়ে যাচ্ছে।
নরসিংদী সদর-সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা না হয়েও ভুয়া কর্মকর্তা বলে দালালরা দলিল করতে আসা সাধারন মানুষের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অপরদিকে সরকারী কর্মকর্তা না হয়ে নকল-নবীশ হয়ে সরকারী কর্মকর্তার প্রভাব দেখাচ্ছে। প্রভাবশালী মহলের ব্যক্তিরা সদর-সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে কর্মকর্তাদেরকে ব্যবহার করে ঘুষ গ্রহণ করে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে শত শত একর জমি, প্লট-ফ্লাট সম্পূর্ন অবৈধ ও বেআইনীভাবে রেজিস্ট্রি করে দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হচ্ছেন তারা।
এসব অবৈধ কর্মকান্ড ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ ও স্থানীয় নেতা-কর্মী, পুলিশসহ নাম সর্বস্ব পত্রিকার সাংবাদিকদের হাত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। দলিল করতে আসা সাধারন মানুষ জানায়, নরসিংদী সদর সাব-রেজিস্ট্রার ও একই অফিসের রেকর্ড রক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্যান্য দালালের মাধ্যমে যোগসাজসে কাগজপত্র জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে এবং বালাম টেম্পারিং ও পাতা ছিড়ে ফেলাসহ নানারকম জাল-জালিয়াতি করার সন্ধান পাওয়া গেছে।
এছাড়াও জমির শ্রেনী পরিবর্তন করে সরকারকে বৃদ্ধাংগুলী দেখিয়ে সরকারের রাজস্বকে ফাকি দিয়ে অবৈধভাবে বিভিন্ন দলিল রেজিস্ট্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়াও এই অফিসে নরসিংদীস্থ বিভিন্ন এলাকার জমি রেজিস্ট্রিতে জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও সাব কাবলা দর্লিলের ক্ষেত্রে ১১% হারে রাজস্ব নেয়ার কথা থাকলেও দলিল লেখকরা দলিল দাতা ও গ্রহিতাদের জিম্মি করে প্রতিলাখে ১৭% হারে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এছাড়াও বসতবাড়িতে নাল, নাল জমিকে ডুবা, ডুবা জমিকে জলাশয় দেখিয়ে দলিল করায় সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। থামবই গায়েবের বিষয়ে জানতে চাইলে সাব রেজিষ্টার মো. নুরুল হক ও নকল নোবিস শফিক কোন কথা বলতে রাজি হয় নি।