নরসিংদীর পালাশে দু’টি বাড়ি লকডাউন ও ঘোড়াশালে দুটি বাড়ি লকডাউন প্রত্যাহার
নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি, কে. এইচ. নজরুল ইসলাম, ০৪ এপ্রিল, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : মহামারি করোনাভাইরাসের লক্ষণ ধরা পড়ায় নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ৭ ওয়ার্ডের পিরিন্দার টেক গ্রামে দুটি বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার দুপুরে এই বাড়িগুলোসহ এর আশপাশে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন উপজেলা প্রশাসন।
পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা আলী সাংবাদিকদের জানান, পিরিন্দার টেক গ্রামের এক বাড়িতে ৪০ বছরের এক পুরুষের করোনার লক্ষণগুলো দেখা দিলে তাৎক্ষণিক ওই বাড়িসহ দুটি বাড়ি লকডাউন করা হয়। এছাড়া ওই বাড়ির আশপাশে জনসাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সন্দেহজনক ব্যক্তি গত কয়েকদিন আগে নরসিংদী শহরে ইতালিফেরত তার এক বোনের বাড়ি বেড়াতে যান। ধারণা করা হচ্ছে, সেখান থেকে সংস্পর্শে এসে তিনি আক্রান্ত হতে পারেন। আক্রান্ত ব্যক্তি দুই শিশু কন্যা ও স্ত্রী নিয়ে পিরিন্দার টেক গ্রামে বসবাস করে আসছেন। প্রাথমিকভাবে করোনা সন্দেহে ওই বাড়ি ও এর পাশের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
আক্রান্ত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহের জন্য আইসিডিআরে খবর পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে টিম এসে পরীক্ষা করার পর করোনা আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ জহিরুল আলম জানান, লকডাউনের পর ওই বাড়ির পাশে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ যেন বাড়ির আশপাশে যেতে না পারে তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া লকডাউন হওয়া বাড়িগুলোতে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ পুলিশ ব্যবস্থায় করা হবে।
এ দিকে, নরসিংদীর ঘোড়াশাল পৌর শহরের পিরিন্দার টেক গ্রামের দুটি বাড়ির লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ এপ্রিল ) দুপুরে আইইডিসিআর- এর নমুনা পরীক্ষায় সন্দেহভাজন ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ না পাওয়ায় পরিবারের লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়।
পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা আলী সাংবাদিকদের জানান, গত বুধবার পিরিন্দার টেক গ্রামের এক ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে দুটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। একইদিন সন্ধ্যায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত সন্দেহভাজন পুরুষের (৪০) নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়।
শুক্রবার দুপুরে আইইডিসিআর থেকে সন্দেহভাজন পুরুষের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপরে লকডাউন খুলে দেয়া হয়েছে। তবে তারা অন্তত ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। এ সময় সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্ণেল তৌফিক ও ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল আলম উপস্থিত ছিলেন।