নরসিংদীতে ৫ শত ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নদী খনন প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন
নরসিংদী প্রতিনিধি, কে.এইচ.নজরুল ইসলাম,২৯ এপ্রিল, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নরসিংদী জেলার অন্তর্ভূক্ত আড়িয়াল খাঁ নদী, হাড়িদোয়া নদী, ব্রহ্মপুত্র নদ, পাহাড়িয়া নদী, মেঘনা শাখা নদী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র শাখা নদ পুন:খনন ৫শত ২৮ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১০ প্রকল্পের কাজের প্যাকেজের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। ২৮ এপ্রিল বিকেলে সদর উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের শুটকীকান্দি গ্রামে এই প্রকল্প কাজের শুভ উদ্বোধন করেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) মো. নজরুল ইসলাম বীর প্রতীক।
প্রকল্প গুলোর বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড এবং তত্ত্বাবধানে থাকবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত ভৌত কাজগুলো হল, নদী পুন:খনন কাজ ২৩১.৮০ কিলোমিটার, ঢেউয়ের আঘাত হতে নদীর তীর রক্ষার কাজ ২২.২০৪ কিলোমিটার, নদীর তীর প্রতিরক্ষামূলক কাজ ১.১৫০ কিলোমিটার, ব্রিজ শক্তিশালী করণ কাজ ৮৫টি ব্রিজ।
উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেসময় উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ভূইয়া, নরসিংদী পৌর মেয়র মো. কামরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন, মাধবদী পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেন মানিক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, বাস্তবায়নকারী সংস্থার প্রকল্প মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার আনিস, অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল মো. তৌহিদ হোসেন, প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল কিসমৎ হায়াৎ, তত্ত্বাবধায়নকারী সংস্থার প্রকল্প মহাপরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী (কে.অ.) এএইচএম ফখরুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আব্দুল মতিন সরকার, নির্বাহী প্রকৌশলী বিজয় ইন্দ্র শংকর চক্রবর্তী, করিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারিছ মিয়া ও নজরপুর ইউপি চেয়ারম্যান বাদল সরকার সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী।
প্রধান অতিথি পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম বীরপ্রতীক বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে নরসিংদী জেলায় অবস্থিত ভরাট হয়ে যাওয়ায় নদী সমূহ খননের মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থা উন্নয়ন, পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি, জলাবদ্ধতা দূরীকরণসহ পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন, বন্যায় নদীর পাড় ভাঙন থেকে তীর রক্ষা, নদী পথে সঠিক নাব্যতা ফিরিয়ে নৌ-চলাচলের উন্নয়ন, পানির গুণগত মান উন্নয়ন, পানি সম্পদ ও জনস্বাস্থ্য রক্ষাসহ পরিবেশগত এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জনের লক্ষ্যে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন এখন শুধুই সময় এবং বাস্তবতার দাবী। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্থানীয় জনসাধারণের সাথে সরকারের কাজ করার পথ আরো প্রশস্ত হবে।
তিনি আরো বলেন, নদী সমূহের খননকৃত মাটির দ্বারা নদীর দুই পাড়ের বিদ্যমান রাস্তা, খেলার মাঠ, জনসাধারণের ব্যবহারযোগ্য ভূমি, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, গীর্জার ভিটা/ আঙ্গিনা ভরাট এবং জনসাধারণের মালিকাধীন অপেক্ষাকৃত নিচু কৃষি ভূমি অথবা পতিত ভূমি চাষাবাদযোগ্য করার লক্ষ্যে উঁচুকরণ কাজে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শেষ হবে ২০২১ সালের জুন মাসে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নকালীন ও বাস্তবায়নোত্তর রক্ষণাবেক্ষন কাজে সমাজের দরীদ্র শ্রেণির জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দরীদ্র বিমোচন হবে। প্রকল্প উদ্বোধন শেষে শুটকিকান্দী গ্রামে নদীতে জিও ব্যাগ ফেলে নদী ভাঙন রোধ কাজের উদ্বোধন করেন পনি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম বীরপ্রতীক।