নরসিংদীতে ‘ইয়াবা’ বিক্রির অভিযোগে ডিবির এসআই খোকন’ও শিবপুর মডেল থানার এএসআই সোহেল রানা`সহ ৩ পুলিশকে প্রত্যাহার
নরসিংদী প্রতিনিধি, কে.এইচ.নজরুল ইসলাম, ০৪ জুন, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : ইয়াবা বিক্রির অভিযোগে নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) খোকন চন্দ্র সরকার ও শিবপুর মডেল থানার এএসআই সোহেল রানাসহ ৩ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে নরসিংদী পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন তাদের প্রত্যাহার করেন।
প্রত্যাহার হওয়া অন্যরা হলেন শিবপুর মডেল থানার সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য মামুন। মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এই তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। তবে সোহেল রানা কিংবা মামুনকে কি অপরাধে প্রত্যাহার করা হয়েছে তা স্পষ্ট জানা যায়নি।
পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জেলার শিবপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি প্রাইভেট কারসহ মো. আবুল কালাম (৩৫) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে শিবপুর মডেল থানার এএসআই সোহেল রানা। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ২৫০টি ইয়াবা টেবলেট ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। পরে আবুল কালামের দেওয়া জবানবন্দিতে বেরিয়ে আসে মাদক ব্যবসার চাঞ্চল্যকর তথ্য।
কালাম পুলিশকে জানায়, সে ডিবির এসআই খোকন চন্দ্রের কাছ থেকে তিন কিস্তিতে ৬ হাজার ইয়াবা বড়ি এনে মনোহরদী উপজেলার গোতাশিয়া এলাকার মাছের খামার ব্যবসায়ী শামীমের কাছে বিক্রি করে। সে এসআই খোকনের কাছ থেকে প্রতি পিচ ইয়াবা বড়ি ১৩০ টাকা করে ক্রয় করে ১৫০ টাকা বিক্রি করত। ইতিপূর্বে সে কোকেনও বিক্রির সঙ্গে জড়িত ছিল।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, অপরাধে জড়িত কেউ ছাড় পাবে না। সে যেই হউক। বিভিন্ন অপরাধে গোয়েন্দা পুলিশের এসআই খোকন চন্দ্র সরকার, কনস্টেবল মামুন ও শিবপুর মডেল থানার এএসআই সোহেল রানাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
তবে এএসআই সোহেল রানা ও পুলিশ সদস্য মামুনকে কেন প্রত্যাহার করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে এসপি বলেন, যারা অপরাধ করবে তারাই শাস্তির আওতায় আসবে।