দুই বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে র‍্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসতে পারবো-নোবিপ্রবি ভিসি

নোয়াখালী প্রতিনিধি, বিধান ভৌমিক, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : আগামী দুই বছরের মধ্যে নোবিপ্রবিকে বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে একটি সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে আসার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে র‌্যাঙ্কিংভুক্ত করার জন্য প্রথমবারের মতো উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। র‌্যাঙ্কিং সেল নামে একটি অফিস চালু করা হয়েছে, ওই অফিসকে ঢেলে সাজানোর কাজ চলমান। কাজেই দুই বছরের ভেতর নোবিপ্রবিকে র‌্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসা যাবে। এ কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নে নোবিপ্রবির সকল বিভাগ ও দপ্তরসমূহের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নোবিপ্রবি অ্যালামানাইদের ভূমিকা রাখতে হবে। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) নোবিপ্রবি ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) সেমিনার কক্ষে আয়োজিত ‘ওয়ার্কশপ অন এনএসটিইউ’স জার্নি টু এক্সিলেন্স: র‌্যাঙ্কিং ইনিশিয়েটিভ ইনঅগুরেশন’ শীর্ষক ওই কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত ওই কর্মশালায় ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল আরও বলেন, শিক্ষকদের গবেষণা প্যাটেন্ট ও নতুন প্রোডাক্ট বাজারে পরিচিতির সুযোগ তৈরি করতে পারলে নোবিপ্রবির র‌্যাঙ্কিং অর্জনের কাজ এগিয়ে যাবে। এ জন্য তিনি গবেষকদের অ্যাপ্লায়েড বেইজড গবেষণা ও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান জানান। এসময় তিনি বলেন, স্কুপাস জার্নালে শিক্ষকদের গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ ও ওয়েবসাইট হালনাগাদ করতে পারলে তা কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমরা নিকট ভবিষ্যতে আইএসও সার্টিফাইড ল্যাব করবো, যেনো নোবিপ্রবিতে বিশ্বমানের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এছাড়াও উন্নত বিশ্বের ভালো মানের ফ্যাকাল্টিদের নোবিপ্রবিতে অ্যাডজাঙ্কট হিসেবে নিয়ে আসা হবে। নোবিপ্রবির প্রতিটি বিভাগে অ্যালামনাই এসোসিয়েশন গঠন করা হবে, এজন্য অচিরেই একটি নীতিমালা প্রস্তুত করা হবে বলে জানান তিনি।

আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. আসাদুন নবীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ। কর্মশালায় কি-নোট স্পিকার ছিলেন এনএসটিইউ র‌্যাঙ্কিং ইমপ্রুভমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব এবং ফার্মেসী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফাহদ হুসাইন। প্রোগ্রাম মডারেটর ছিলেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল কাইয়ুম মাসুদ।

কর্মশালায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক বলেন, শরীরের সব অর্গান কাজ না করলে যেমন শরীর ঠিকভাবে চলে না, তেমনি  বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো উইং বা শাখা কাজ না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ও সামনে এগিয়ে যেতে পারে না।  বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং সেল একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে ডাটাবেজ তৈরির কাজ। আমরা ডাটাবেজ প্রস্তুত, ওয়েবসাইট হালনাগাদ ও র‌্যাঙ্কিংয়ের যাবতীয় উদ্যোগ নিয়েছি। এক্ষেত্রে আপনাদের সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।

কর্মশালার কি-নোট স্পিকার ড. ফাহদ হুসাইন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আমাদেরকে কীভাবে দেখছে তার জন্য আমাদের লিস্টেড হতে হবে, র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে আসতে হবে। বাইরের যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ফান্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে র‌্যাঙ্কিংটা গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট, স্টাফ, কো-অথরশিপ এবং বিদেশী স্টুডেন্টদের সংখ্যা র‌্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পায়। আমরা আমাদের এলামনাইদেরকে এনএসটিইউ এফিলিয়েশন দিলে এবং অফিসিয়াল ই-মেইল দিলে আমাদের পাবলিকেশন সংখ্যা আরও বাড়বে এবং তা র‌্যাঙ্কিং বৃদ্ধিতেও সহায়ক হব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *