দালালের হাত দরে বাংলাদেশী পাসপোর্ট করার সময় নরসিংদীতে পুলিশের অভিযানে ৪ রোহিঙ্গা নারী আটক
নরসিংদী প্রতিনিধি, কে.এইচ.নজরুল ইসলাম, ০২ জুন, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪): দালালের হাত দরে বাংলাদেশী পাসপোর্ট করার সময় পুলিশের অভিযানে ৪ রোহিঙ্গা নারী আটক। বৃহস্পতিবার (৩০মে) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নরসিংদী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ভিতর থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো মিয়ানমার থেকে আসা হামিদুল্লার মেয়ে নূর বিবি(১৪), সলিমউল্লার মেয়ে আমেনা বেগম(২৩), মো: মামু সুলতানের মেয়ে রাশিদা আক্তার(১৬), মোহাম্মদ এর মেয়ে আনোয়ারা বেগম(১৭)। তারা সবাই স্থানীয় দালালের মাধ্যমে কক্সবাজার কুতুপালং ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসেছে নরসিংদীতে পাসপোর্ট দাললদের কাছে।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, রোহিঙ্গা নারীরা পাসপোর্ট করার জন্য নরসিংদী পাসপোট অফিসে আসেন। নরসিংদী ঠিকানা দিয়ে পাসপোর্ট করছিল ৪ রোহীঙ্গা নারী, তাদের মধ্যে রাশিদা আক্তারের শিবপুর জয়নগর এলাকার ঠিকানা দিয়ে ফাইল পুরোপুরিভাবে কাজ সম্পর্ন করে ফেলে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা। বাকি ৩ জনের পাসপোর্টের কাজ চলছিল।
সংবাদ পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ তাৎহ্মনীক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালায়। ওই সময় হাতে নাতে ৪ রোহীঙ্গা নারীকে আটক করেন পুলিশ।পুলিশ আরো জানায়, ধারনা করা হচ্ছে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগীতা নিয়ে রোহিঙ্গা নারীরা পাসপোর্ট করছিল।
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারকৃত রোহিঙ্গা নারী নূর বিবি সাংবাদিকতের বলেন, বাংলাদেশি কিছু দালাল আছে তাদের কে এক হাজার দিলে ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে এনে বাসে তোলে দেওয়া হয়। সেখানে বাসের ড্রাইভারকে আরো এক হাজার টাকা দিয়ে দালালদের মাধ্যমে নরসিংদী নিয়ে আসে। ভালভাবে জীবনযাপন করতেই সেখান থেকে এখানে আসা।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, টাকা হলেই দালাল দিয়ে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট হয়। নরসিংদী পাসপোর্ট অফিসে অফিস সহকারী সূজন হাওলাদার ও আরিফুল হক সুমনের সহযোগিতা এসব কর্মকান্ড হচ্ছে। আর নেপথ্যে থেকে এসবের সহযোগীতা করছেন পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক। মূলত টাকার জন্যই তারা এসব কাজ করে থাকে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নরসিংদীর উপ-পরিচালক জেবুন্নেছা সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেন সদর মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক তাপস কুমার রায় সাংবাদিকদের বলেন, জেলা স্পেশাল ব্যাঞ্চ (ডিএসবি) নরসিংদী মডেল থানাকে ঘটনা অবগত করলে, পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ৪ জন রোহিঙ্গা নারীকে আটক করা হয়। রাতের ট্রেনে করে তাদেরকে প্রথমে চট্টগ্রাম পরে কক্সবাজার কুতুপালং ক্যাম্পে প্রেরন করা হবে।