ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে বই প্রদান করল ‘অন্যপ্রকাশ’
আগরতলা, আরাফাত শাহরিয়ার, ০৭ এপ্রিল ২০২৩ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : আগরতলায় আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের হাতে ‘অন্যপ্রকাশ’ প্রকাশিত বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখকদের বেশ কিছু বই তুলে দেওয়া হয়। এসময় অন্যপ্রকাশ-এর প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম, জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক সাদাত হোসাইন, ত্রিপুরার বিশিষ্ট সাংবাদিক ও গল্পকার নন্দিতা দত্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লাইব্রেরিয়ান ডক্টর চম্পেশ্বর মিশ্র, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী -কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ৭ এপ্রিল আয়োজিত এ অনুষ্ঠান সন্ঞ্চালনা করেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মলয় দেব।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মাজহারুল ইসলাম ও সাদাত হোসাইনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং উত্তরীয় পরিয়ে দেন। উপাচার্য তাঁর বক্তৃতায় অন্যপ্রকাশের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, অন্যপ্রকাশ এখন থেকে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্য। ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা সব সময় ‘অনপ্রকাশ’-এর জন্য খোলা থাকবে। অন্যপ্রকাশ আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে যে এতগুলি বই তুলে দিলেন তাতে আমি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এমন একটি মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতেই হয়।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় তরুণ লেখক সাদাত হোসাইনকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, আমি জেনেছি সমগ্র বাংলাভাষীদের কাছেই সাদাত ভীষণ সমাদৃত। বয়সে এতো তরুণ একজন লেখকের পাঠকের কাছে এভাবে সমাদৃত হওয়াটা অসাধারণ ব্যাপার।
মাজহারুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, এ উদ্যোগের ফলে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সুযোগ তৈরি হলো বাংলাদেশের বই ও লেখকদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার। বাংলাদেশের সাহিত্যকে ত্রিপুরার শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরা আমাদের লক্ষ্য। তিনি ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় এর গ্রন্থাগার এ ছাত্র ছাত্রী ও গবেষকদের বৃহৎ স্বার্থের কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশের বই ও পত্র-পত্রিকা র জন্য একটি আলাদা কর্ণার করার জন্য উপাচার্য তথা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব রাখেন।
কথাশিল্পী সাদাত হোসাইন এ উদ্যোগের জন্য ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং অন্যপ্রকাশকে ধন্যবাদ জানান। সাদাত তার বক্তব্যে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরাবাসীর অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। সাংবাদিক ও গল্পকার নন্দিতা দত্ত ‘অন্যপ্রকাশ’কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ উদ্যোগের ফলে ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের সাহিত্যের মেলবন্ধন তৈরি হলো।