দেশি পাটের জীবনরহস্য উন্মোচিত

ঢাকা, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশি পাটের জন্মরহস্য আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা। এর আগে তোষা পাটের জীবনরহস্য এবং পাটের একটি ক্ষতিকারক ছত্রাকের জীবনরহস্যও আবিষ্কার করা হয়েছে বাংলাদেশে। ফলে দেশি পাটকে আরো উন্নত করা যাবে।’
গতকাল রবিবার বিকেলে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পাটের জেনোমের গঠন আবিষ্কারের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাটের জীবনরহস্য উন্মোচনকারী বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম এ ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রীর পাশে উপস্থিত ছিলেন।
এটা বাংলাদেশের জন্য ‘বিরাট অর্জন’ দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সোনালি আঁশ আবার আমাদের সোনালি দিন ফিরিয়ে আনবে। সে জন্য আমরা গবেষণা করে যাচ্ছি। পাটের পূর্ণাঙ্গ জীবনতথ্য এখন আমাদের হাতে। এটা আমাদের সম্পদ।’ বিশ্বজুড়ে পাটের বহুমুখী ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সোনালি আঁশ আবার সোনালি হাসি ফিরিয়ে আনবে। পাট থেকে বহুমুখী জিনিস এখন তৈরি হতে পারে। পাট দিয়ে জামা, কাপড়, শাড়ি, গাড়ির ভেতরের কাভার- এসব তৈরি করা এখন সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী জানান, গত অর্থবছরে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে পাট থেকে।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে পাটশিল্পের চিত্র তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘পাটের সঙ্গে বৈরিতা বিএনপি সব সময় করেছে। বিএনপি আমলে আমাদের দেশে পাটকল বন্ধ হয়ে যায় আর ভারতে একের পর এক পাটকল চালু হয়। এমনকি নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়া খুলনার জনসভায় বলেছিলেন, তাঁরা ক্ষমতায় গেলে পাটকলগুলোর উন্নয়ন করবেন। কিন্ত তাঁরা তা না করে পাটকলগুলো বন্ধ করে দিয়েছিলেন। আমরা এসে জুটমিল আবার চালু করেছি।’
ড. মাকসুদুল আলম বলেন, পাট শব্দটির সঙ্গে বাংলাদেশ শব্দটি এখন সারা বিশ্বে উচ্চারিত হবে। তিনি জানান, আজ সকাল ১০টায় বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ গবেষণা সম্পর্কিত সব জিজ্ঞাসার উত্তর দেবেন। তিনি সরকারের কাছ থেকে এ গবেষণায় সর্বোচ্চ সহযোগিতা পেয়েছেন বলে জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আজকাল মেধাস্বত্ব নিয়ে সারা পৃথিবীতে লড়াই চলে। পাটের জীবন রহস্যের মেধাস্বত্ব অর্জনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বিমানমন্ত্রী কর্নেল ফারুক খান প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *