নোয়াখালী প্রতিনিধি, লূংফুল হায়দার চৌধুরী, ২২ মে, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় ভূঁইয়ার দিঘী রাস্তার মাথা এলাকায় জামরুল পাড়াকে কেন্দ্র করে এক রাজমিস্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত মো. নুরুল হুদা বাবলু (৩৫) উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মধ্যম মোহাম্মদ পুরের আলী মিয়া রাজবাড়ির মোশারেফ হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী ছিলে। শনিবার (২২ মে) ভোর ৬ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানায়, উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ভূঁইয়াদিঘী রাস্তার মাথা এলাকার আলী মিয়া রাজের বাড়ির মোশারফ হোসেনের সঙ্গে একই বাড়ির আবদুর রবের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত বুধবার ( ১৯ মে) বিকেল ৪টার দিকে আবদুল রবের নাতী অন্তর শরিয়ত উল্লাহ বতসঘরের পিছনে থাকা তার দখলীয় জায়গায় থাকা একটি জামরুল গাছ থেকে জামরুল পাড়া শুরু করলে নুরুল হুদা বাবলুসহ পরিবারের সদস্যরা বাঁধা দেয়।
এ সময় একই বাড়ির জামাল উদ্দিন সুমন, নুর নবীর নেতৃত্বে কামাল হোসেন ও অন্তরসহ একদল সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে দা, চেনী, কিরিছ, কুড়াল, লোহার রড় ও লাঠিসোটা দিয়ের এলোপাথাড়ী কুপিয়ে ও পিটিয়ে নুরুল হুদা বাবলুসহ মজিনা আক্তার, কমলা বেগম ও নাসিমা আক্তার সহ একই পরিবারের ৫ জনকে রক্তাক্ত আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোর ৬ টায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত বাবলুর বোন খালেদা আক্তার অভিযোগ করেন, নুরনবী, কামাল উদ্দিন, মো. আজাদ, অন্তর, রিনা বেগম ও নার্গিস সহ কয়েকজন আমার ভাইকে কুপিয়ে এবং রড পিটিয়ে হত্যা করে। রডের আঘাতে আমার ভাইয়ের গাড়ের রগ ছিড়ে যায়, এঘটনায় আমার ভাবি, বাবলুর স্ত্রী কাজলকে (২০) তারা পিটিয়ে আহত করে। তাকে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। শনিবার স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি আবারো অসুস্থ হয়ে পড়েন।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা বলেন, ঘটনার পর সেনবাগ থানায় অভিযুক্ত ৮ জনকে আসামী করে একটি মামলা হয়েছে। বাবুলর মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলা পরিণত হবে। পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তাওে চেষ্টা চালাচ্ছে।