চৌদ্দগ্রামে প্রতিবন্ধী’র করুন কাহিনী, সাহায্যের আবেদন
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি, আবদুল মান্নান, ০৬ জুন, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : সেনোয়ারা বেগম। স্বামী পরিত্যক্তা একজন বৃদ্ধা। তিনি প্রতিবন্ধী। স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারেন না। সম্পূর্ণ হামাগুড়ি দিয়ে চলাচল করেন। তাঁর এক মেয়ে। রংপুরে স্বামীর বাড়িতে থাকেন। এক কথায়-স্বামী পরিত্যক্তা সেনোয়ারা বেগমকে দেখার কেউ নেই। তাঁর বাড়ি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে। থাকেন টিনসেডের ভাঙা একটি ঘরে। নেই জিনিসপত্র রাখার আলমিরাসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। একটি চৌকি আছে, তাও আবার থাকার উপযুক্ত নয়। ওই ঘরে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিবন্ধী সেনোয়ারা বেগম হামাগুড়ি দিয়ে গোসলখানায় গিয়ে গোসল ও অযু করছেন। বেশির ভাগ সময় তিনি না খেয়ে থাকেন। দিনের পর দিন শুধু পানি পান করে বেঁচে আছেন। গলায় আধা কেজি ওজনের একটি টিউমার থাকায় তিনি ভাতও খেতে পারেন না। টিউমারটি চিকিৎসা করানোর সাধ্য নেই তার। পাশেই তাঁর ভাইয়ের ঘর থাকলেও কেউ খোঁজ রাখে না। মাঝে মধ্যে ‘ভালোবাসার দূর্গাপুর গ্রুপ’ নামের সামাজিক সংগঠন থেকে কিছু কিছু অনুদান দেয়া হয়। এছাড়াও সরকারিভাবে যে প্রতিবন্ধী ভাতা দেয়া হয় তাঁও অপ্রতুল। মুজিব বর্ষে সরকার গৃহহীনদের ঘর দিলেও সেনোয়ারা বেগমের ভাগ্যে জুটেনি একটি ঘর।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে সেনোয়ারা বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুজিবুল হক এমপি একটু খোঁজ নিলেই আমার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এদিকে প্রতিবন্ধী সেনোয়ারা বেগমকে সাহায্য করার জন্য সরকার ও বিত্তবান ব্যক্তিদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাকে সহযোগিতা ও পরামর্শের জন্য ০১৮৪২০৬১৯৮৯ (বিকাশ) নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছেন ভালোবাসার দূর্গাপুর গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়ক মানবিক সমাজ সেবক গাজী রুবেল।