গরীব ও নিম্নবিত্তদের ভরসা ফুটপাতের শীতের কাপড়
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি, কামরুজ্জামান, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : পুরো ডিসেম্বার মাস ধরেই শীত পড়ছে। কোন কোনদিন একটু কম আবার কোন কোনদিন প্রচন্ড শীত। শীত মৌসুমে সাধারনতই বিভিন্ন রোগ বালাই এবং অসুস্থ্যতা বেড়ে যায়। তাছাড়াও কভিড-১৯ (করোনা)র প্রভাব দ্বিতীয় ধাপে বৃদ্ধি পাওয়ায় বৃদ্ধ এবং শিশুদের সুস্থ্য রাখতে শীতের মোকাবেলা করতে শীতের কাপড়ের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে শহরের তুলনায় ঠান্ডা বেশী, তাছাড়া শহরাঞ্চলে সস্তায় এবং ভালো ভালো শীতের পোষাক পাওয়া যাওয়ার কারন গার্মেন্টস। যা গ্রামের বাজারগুলিতে পাওয়া দুষ্কর।
শীতের শুরুতেই চাঁদপুর জেলা ফরিদগঞ্জ উপজেলার সকল বাজারে ফুটপাত গুলো শীতের কাপড় বেচা কেনায় বেশ জমে উঠেছে। প্রতিটি দোকানেই নিম্নমধ্যবিত্ত আর গরীব অসহায় কর্মহীন মানুষদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে কাপড় কেনার জন্য লোকজন ভিড় ফুটপাতের পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে।
উপজেলার সর্বত্র এমন পুরাতন কাপড়ের দোকান বসলেও ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরের রাস্তাজুড়ে দোকানীরা পসরা সাজিয়ে বসেছে শীতবস্ত্রের। পাশাপাশি গরম কাপড় ভ্যানে করে গ্রামাঞ্চলে নিয়ে বিক্রি করতেও দেখা গেছে। ক্রেতারা তাদের সাধ্যমতো কম মূল্যের শীতবস্ত্র কিনছে । বাজার ঘুরে দেখা যায়-শিশু, নারী, পুরুষসহ সব বয়সের মানুষের শীতের পোশাক রয়েছে এই দোকান গুলোতে। কোর্ট, জ্যাকেট, লংকোর্ট, উলের সোয়েটার, ফ্রক, শার্ট, গেঞ্জিসহ সব ধরনের পোশাকই পাওয়া যাচ্ছে।
ক্রেতা সহিদা খাতুন বলেন, ইতিমধ্যে বেশ শীত পড়তে শুরু হয়েছে । নতুন শীতবস্ত্রের যে পরিমান মুল্য তা নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে। ফুটপাতের দোকানদার চানমিয়া বলেন, গতবারের চেয়ে এবার গরম কাপড়ের প্রতি বেল্ট (গাইট) ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা বেশী। যে কারনে পুরাতন হলেও আগের তুলনায় এবার আমরা মুল্য একটু বেশী নিচ্ছি। সে আরো বলেন, এখনো তেমন একটা শীত পড়েনি, তারপরও বিক্রি ভালোই হচ্ছে।