নোয়াখালী প্রতিনিধি, লূংফুল হায়দার চৌধুরী, ২৮ জুন, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : বাংলাদেশ আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা ম্যাজিস্ট্রেটকে একটি প্রশ্ন রেখে বলেন, গত ১৪ অথবা ১৫ই মার্চ কোম্পানীগঞ্জের অপরাজনীতির হোতা বাদল গ্রেফতার হয়েছে। তার তিনটি মামলার মধ্যে একটি মামলার জামিন দিয়েছেন ১৯ তারিখ।
অপর দুই মামলার শুনানি দিয়েছেন ২৪ তারিখ। অথচ আপনি দুই ঘন্টা পরে এসে বাদলকে ওই দুই মামলায় কিভাবে জামিন দিলেন? আর আমাদের ছেলেদের জামিন হয়না। এক দেশে দুই আইন কিভাবে চলতেছে। আপনারা বিচার ব্যবস্থাকে আজকে বিতর্কিত করছেন। বিচার ব্যবস্থাকে আজকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন। আমি আপনাদের কাছে বিনীত আহবান জানিয়ে বলতেছি, বিচার প্রার্থীরা আপনাদের কাছে বিচার চাইবে এটাই তো স্বাভাবিক, আপনারা তাদের আবেদন শুনবেন, তদন্ত করবেন, যদি তদন্তে মামলার মিথ্যা হয় তখন সেটা আপনারা ফেলে দিবেন।
রোববার (২৬ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন। মেয়র বলেন, নোয়াখালীর অপরাজনীতির হোতা খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম ও একরামুল করিম চৌধুরী নাকি এখন ঢাকায়। নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের কমিটি ওবায়দুল কাদেরের ঘোষিত কমিটি। কিন্তু দলের কাউন্সিলরদের নির্বাচিত কমিটি নয়।
ওবায়দুল কাদের সাহেবের ঘোষণার পরেও সেন্ট্রাল কমিটির অনুমোদন ছাড়া তারা কিভাবে বহাল থাকে। আর কোন ক্ষমতাবলে তারা বিভিন্ন উপজেলায় খবরদারি করে। তিনি আরো বলেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেবের কাছে পদ ত্যাগ চেয়েছিলেন। আমি বলি আপনারা দুইজন যদি নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ থেকে পদ ত্যাগ করেন দলমত নির্বিশেষে সবাই আপনাদের কে ওয়েলকাম জানাবে। আল্লাহ ও খুশি হবে যে নোয়াখালী এই অপরাজনীতির হোতাদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
কাদের মির্জা এক পর্যায়ে জেলা আ’লীগের সভাপতি খায়রুল আনম সেলিমকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কোম্পানীগঞ্জের প্রত্যেকটি ঘটনার জন্য আপনি দায়ী। বঙ্গবন্ধু চত্তরে দাঁড়িয়ে আপনি কি বলেছিলেন? এই বৃদ্ধ বয়সে এসে আপনি আপনার বিবেককে বিক্রি করে দিয়েছেন। আসলে আপনি একটা মেরুদণ্ডহীন প্রাণী। একরামুল করিম চৌধুরীর ২৫% অপরাধের আপনি দায়ী। টাকার ভাগ ও ২৫% আপনি নেন। যদি প্রমাণ করতে না পারি তবে হিজরত করবো। আপনার মতো নির্লজ্জকে যদি আবারো জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয় তবে, সে ক্ষেত্রে অপরাজনীতির আরেকটা চমক ছাড়া আর কিছুই নয়।
এ সময় কাদের মির্জা নোয়াখালী ৪ আসনের সাংসদ ও জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমার বাবা কে রাজাকার বলেছো। আমার নানাকে শান্তি কমিটির প্রধান বলেছো। প্রমাণ তোমাকে করতে হবে না হয় তোমার জিব চিঁড়ে পেলবো।
কাদের মির্জা বলেন, আমি কোনো নেতার তোয়াক্কা করি না। আমি ওবায়দুল কাদেরের ভাত খাইনা। ওবায়দুল কাদেরের রক্ত চক্ষুকে আমি ভয় করিনা। ওবায়দুল কাদের কোম্পানীগঞ্জের রাজনীতিকে অপরাজনীতির হোতাদের হাতে তুলে দিতে চায়। এটা কোম্পানীগঞ্জের আ’লীগ কর্মীরা মানবেনা। আপনার এই খেলা খেলবেননা ওবায়দুল কাদের সাহেব।