কোটচাঁদপুরে যুবলীগ সভাপতির কান্ড বাঁওড়ের মাছ লুট করতে না পেরে মৎস্যজীবিকে হাতুড়ি পেটা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর সরকারী বলুহর বাঁওড়ের মাছ লুটপাট করতে বাঁধা দেওয়ায় হাতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে শান্তি হালদার (৫০) নামে এক মৎস্যজীবিকে।
বলুহর ইউনিয়ন যুবলীগের ওয়ার্ড সভাপতি তাপস গড়াই ও সম্পাদক তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে শনিবার রাতে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয় বলে থানায় দায়ের করা এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় বাঁওড় সংশ্লিষ্ট সকল মৎস্য জীবিদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শান্তি হালদার রোববার বিকালে জানান, শনিবার বিকালে মৎস্যজীবিরা বাঁওড় থেকে মাছ ধরে সিঙ্গিয়া নামক ঘাটে তোলেন। রাতের বেলা বাঁওড় সংলগ্ন বলুহর গ্রামের যুবলীগ সভাপতি তাপস গড়াই, সেক্রেটারী তরিকুল ইসলাম, আক্কাস, রামচন্দ্রপুর গ্রামের সোহাগসহ ৮/১০ জন মাছ লুট করতে আসলে মৎস্যজীবিরা বাধা দেন। এ সময় তারা বলুহর গ্রামের রামচন্দ্র হালদারের ছেলে মৎস্যজীবি শান্তি হালদারকে বকাবকি করে চলে যায়।
শনিবার রাতে শান্তি হালদার বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে বলুহর প্রাইমারী স্কুলের সামনে পৌঁছানো মাত্র আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা যুবলীগ নেতা তরিকুলসহ ৪/৫জন শান্তি হালদারকে একা পেয়ে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। স্থানীয়রা শান্তি হালদারকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
বাঁওড় সমিতির সেক্রেটারী রনজিৎ হালদার অভিযোগ করেন, প্রায় আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে বাঁওড়ের সম্পদ তছরুপ করে, কিন্তু ভয়ে আমরা তাদের কিছুই বলতে পারিনা। বাঁওড়ের ক্ষেত্রসহকারী কবির হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি শুনে হাসপাতালে আহত শান্তি হালদার দেখতে গিয়েছিলাম। শান্তি হালদারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করেছে বলে শুনেছি।
কোটচাঁদপুর থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে বাঁওড় পাড়ের গ্রামের মানুষ অভিযোগ করেছেন, বাঁওড় ব্যবস্থাপক সিদ্দিকুর রহমানের সীমাহীন দুর্ণীতির কারণে উৎশৃংখল যুবকরা এমন অপরাধ কর্মকান্ড করতে সাহস পাচ্ছে। রাতের অন্ধকারে মাছ মেরে বিক্রি করাসহ নানা অপকর্মের সহযোগী হচ্ছে কিছু উৎশৃংখল যুবক।