করোনায় ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ১৩৯, মৃত্যু ৪, মোট ৬২১ জন, মৃত্যু ৩৪; বিশ্বে ১৭ লাখ আক্রান্ত, মৃত্যু ১০৭,০৬৫
ঢাকা (নিউজ ডেস্ক), ১২ এপ্রিল ২০২০ ইং (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : করোনায় দেশে ২৪ ঘন্টায় আরও ১৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২১ জনে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৪ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সম্পর্কে নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে নিজ বাসা থেকে যুক্ত হয়ে রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আজ এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এসময় যুক্ত হন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ডা. সানিয়া তাহমিনা। তিনিও করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ তথ্য উপস্থাপন করেন। ডা. ফ্লোরা জানান, আক্রান্ত ৬২১ জনের মধ্যে ঢাকায় ৫০ শতাংশ, ঢাকা বিভাগে ৩৫ শতাংশ ও চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ শতাংশ রোগী রয়েছে। নতুন সংক্রমিত জেলা হচ্ছে লক্ষীপুর, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও ও ঝালকাঠি।
এ দিকে, করোনা ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা বেড়ে শনিবার এক লাখ সাত হাজার ৬৫ হয়েছে। এএফপি’র উপাত্ত থেকে এ কথা জানা গেছে। এছাড়া গত ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনা দেখা দেয়ার পর বিশ্বের ১৯৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসে ১৭ লাখ ৪৫ হাজার ২৯০ জন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে তিন লাখ ৪৪ হাজার ৬শ’ জন। যদিও অধিকাংশ দেশে গুরুতর অসুস্থদেরই কেবল পরীক্ষা করা হচ্ছে।বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ২৭ হাজার ২৭১ জন এবং মারা গেছে ২০ হাজার ৫০৬ জন।
ইতালিতে প্রথম মৃত্যুর কথা ঘোষণা করা হয়েছিল ফেব্রুয়ারি মাসে। সে থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মারা গেছে ১৯ হাজার ৪৬৪ জন এবং আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ৫২ হাজার ২৭১ জন। স্পেনে মারা গেছে ১৬ হাজার ৩৫৩ জন, আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৮৫২ জন। ফ্রান্সে করোনায় মারা গেছে ১৩ হাজার ৮৩২ জন এবং আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ৬৫৪ জন। ব্রিটেনে মারা গেছে ৯ হাজার ৮৭৫ জন ও আক্রান্ত হয়েছে ৭৮ হাজার ৯৯১ জন।
এছাড়া গোটা ইউরোপে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৯৮ হাজার ২৭৩ জন এবং মারা গেছে ৭৩ হাজার ৯৪৮ জন। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় মারা গেছে ২০হাজার ৫৬০ ও আক্রান্ত হয়েছে ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৬১২ জন। এশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৩৪ হাজার ২২৭ জন এবং মারা গেছে ৪ হাজার ৭৩৪জন।